উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, পুলিস প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সরকারি বোর্ড উপেক্ষা করেই দুর্বল সেতুর উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলছে।
খড়িবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের বিট্টু জয়সোয়াল বলেন, বছর খানেক আগে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্বল সেতুর তকমা ঝুলিয়ে দেওয়া হলেও সেতু সংস্কারের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ প্রশাসন নেয়নি। সেতুর উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। দিনের বেলা পুলিসের নজরদারি থাকলেও রাতের অন্ধকারে অবাধে ছুটছে পণ্যবাহী লরি থেকে শুরু করে বালি ও পাথর বোঝাই ট্রাক।
পূর্তদপ্তরের শিলিগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গৌতম পাল বলেন, সেখানে আমাদের দপ্তর থেকে দুর্বল সেতু বলে কোনও সাইন বোর্ড লাগানো হয়নি। তবে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্য সড়কের উপর যেসব সেতু রয়েছে তা ভারী যানবাহনের জন্য নয়। সর্বাধিক ৩০ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারে ওসব সেতুর উপর দিয়ে। এই বিষয়ে পুলিস প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
দুর্বল সেতু নিয়ে খড়িবাড়ির বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল কিছু বলতে চাননি। খড়িবাড়ি থানার ওসি পাসাং শেরপা বলেন, আমরা নজর রাখছি।
২৬ বছর আগে বাম আমলে পূর্তদপ্তর এই সেতুটি নির্মাণ করেছিল। তারপর সেতুটির সংস্কারের ব্যাপারে আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রায় ৫০ ফুট লম্বা এই সেতুটির নীচের বিম ও ঢালাই থেকে প্লাস্টার খসে গিয়ে রড বেরিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, ঢালাই ও পিলারের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে।
দুর্বল সেতুটির রক্ষণাবক্ষেণের দায়িত্ব নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে দুর্বল সেতু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘোষপুকুর থেকে খড়িবাড়ি এবং খড়িবাড়ি থেকে নকশালবাড়ি হয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে যুক্ত করার মূল সড়কসেতু হিসেবে এটি রয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের হুঁশ নেই বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে।