শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার টেক্সাসের হিউস্টনে মোদিকে নিয়ে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সম্প্রদায়। নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাউডি মোদি’। সেখানে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরবেন মোদি। অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে যা নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। গত কয়েকদিনের সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দেয় ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের উপস্থিত থাকার জল্পনা। রবিবার সকাল পর্যন্ত ট্রাম্পের উপস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও রাতে হোয়াইট হাউস তাতে সিলমোহর দিয়েছে।
সাম্প্রতিক অতীতে এই প্রথম দু’টি বৃহত্তম গণতন্ত্রের দুই রাষ্ট্রনায়ক যৌথ সভা করবেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব স্টেফানি গ্রিসাম বলেছেন, ‘দুই নেতার সাক্ষাৎ ভারত ও আমেরিকাবাসীর মধ্যে একটা মজবুত বন্ধন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। বিশ্বের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম গণতন্ত্রের কৌশলগত সম্পর্কের উন্নতি হবে। এছাড়া দু’দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পকর্কে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ তাঁর সভায় ট্রাম্পের উপস্থিতির খবরে সিলমোহর পড়তেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোদি। বিষয়টিকে ‘বিশেষ সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করেন ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ভারত ও আমেরিকার এটাই বিশেষ বন্ধুত্ব। এই সিদ্ধান্তে মার্কিন সমাজ ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদানের স্বীকৃতি এবং সম্পর্কের মজবুত ভিত্তিই ফুটে উঠেছে।’
একই মঞ্চে দুই রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিকে ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘অযাচিত’ আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তাঁর কথায়, ‘৫০ হাজারেরও বেশি মার্কিন দর্শক তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যৌথ ভাষণ ইতিহাস গড়বে। এটা শুধু দু’দেশের সম্পর্কের ব্যাপার নয়, দুই রাষ্ট্রনেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রসায়নের প্রতিফলন।’ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ পরবর্তী পরিস্থিতিতে মোদি-ট্রাম্প এই বৈঠক কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ইতিমধ্যেই মার্কিন বিভিন্ন এমপি কাশ্মীরে আরোপ করা বিধিনিষেধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, এনআরজি স্টেডিয়ামে মোদির এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন ৫০ হাজারেরও বেশি অনাবাসী ভারতীয়। যাঁরা কি না ট্রাম্পের ভাবী ভোটার। তাই মোদির ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারতে চান তিনি। এর আগে গত ২৬ আগস্ট ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে শেষবারের মতো বৈঠক হয়েছে মোদি-ট্রাম্পের।