শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
কী এই ‘ফাজ’? ‘ফাজ’ আসলে এক ধরনের উপকারী ভাইরাস। কাজ বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়াগুলিকে খেয়ে ফেলা। এরা ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ফাটিয়ে দেয় বা ব্যাকটেরিয়ার ভিতর ঢুকে গুণিতক হারে বাড়তে থাকে। চিকিৎসকদের ভাষায় ব্যাকটেরিয়াখেকো ভাইরাস। ইচ্ছাখুশির ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিকগুলিকে যেভাবে পদানত করতে পারে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া— ফাজের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত কমই পারে। তাই যখন অ্যান্টিবাবয়োটিকে আর কাজ দেয় না, অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে এই ‘ফাজ’-এমন সম্ভাবনার কথাই বলছে চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ।
কোথায় পাওয়া যায় এই ‘ফাজ’? চিকিৎসকমহল সূত্রের খবর, সাধারণভাবে বর্জ্যে পাওয়া যায় এই ‘ফাজ’। পাওয়া যায় গঙ্গার জলে। বর্জ্য থেকে ‘ফাজ’ বিশেষ উপায়ে নিষ্কাষিত করে দেওয়া হয় শরীরের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট বিভিন্ন অংশে। সম্প্রতি আমেরিকান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মেরিন শাখায় কর্মরত এক বর্ষীয়ান বাঙালি বিজ্ঞানী মিশরে বেড়াতে গিয়ে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে তোলেন ‘ফাজ’ ব্যবহার করে।
১৯১৫ এবং ১৯১৭— এই দুটি সালই ‘ফাজ’-এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দুটি বছরই ফ্রেডরিক এবং ফেলিক ডি হেরেল নামে দুই বিজ্ঞানী এই উপকারী ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেন। তারও আগে ১৮৮৬ সালে আর্নেস্ট হ্যানবুরি হ্যানকিন নামে এক স্বনামধন্য ব্যাকটেরিওলজিস্ট প্রথম জানান গঙ্গা এবং যমুনার জলে এমন কিছু পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলি কলেরার মোকাবিলায় অসম্ভব ভালো কাজ দিচ্ছে। সেই শুরু। তাহলে কি ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের দিন শেষ হতে যাচ্ছে? সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে গবেষণা।