ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পার্চেজ অ্যাডজাস্টমেন্ট সারচার্জ (এফপিপিএএস) শিরোনামে অতিরিক্ত টাকার বোঝা গ্রাহককে চাপাচ্ছে সিইএসসি। তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হয় কেন্দ্রের ইলেকট্রিসিটি অ্যামেন্ডমেন্ট রুল ২০২২-কে সামনে রেখে। ৩০ জুনের নোটিসে সিইএসসি জানিয়েছে, বিলের উপর ৫.৭ শতাংশ হারে এই চার্জ ধার্য হবে। অথচ এখানে বিজেপি বলছে, দাম বাড়ানো চলবে না।
সুব্রতবাবুর কথায়, গ্রাহকদের সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে যে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি, তার কোনও নৈতিক অধিকার তাদের নেই। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই রুলে বলা আছে, কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করা হলেও এক্ষেত্রে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। তা যদি না নেওয়া হয়, তাহলে আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত।
এদিকে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার সজল ঘোষের নেতৃত্বে সিইএসসির খরচ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে সজলবাবুর জবাব, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনই সর্বত্র কার্যকর হয়। আমাদের প্রশ্ন, সিএএসসি কেন ২০২২ সালের আইন ২০২৪ সালে কাজে লাগাল? লোকসভার ভোট মিটতেই কেন গ্রাহকের উপর কোপ পড়ল? গ্রাহকদের কেন বিষয়টি যথাযথভাবে জানানো হল না, প্রশ্ন তুলেছেন সজলবাবু। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার কেবলমাত্র একটি সংস্থাকেই বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ করে দিয়েছে। কেন একাধিক সংস্থাকে সেই সুযোগ দিয়ে প্রতিযোগিতার বাজার তৈরি হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সজলের যুক্তি, এতে গ্রাহক আর্থিক সুবিধা পাবেন। তিনি পছন্দসই সংস্থা বেছে নিতে পারবেন। এই বিষয়ে সিইএসসি’র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বলেন, কেন্দ্র যে বিধি এনেছে, তাকে ইতিমধ্যেই দেশের ৩৬টি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা মান্যতা দিয়েছে। আমরাও তাকে মান্যতা দিতে বাধ্য। এটি গ্রাহকের উপর মাশুল চাপিয়ে দেওয়া নয়। আমরা গত সাতবছর মাশুল বাড়াইনি। এটি ফুয়েল ও পাওয়ার কেনার খরচ ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’, যা প্রতিমাসে পরিবর্তিত হয়। আমরা এটি চালুর আগে বিধি খুঁটিয়ে দেখেছি। এটি চালু হওয়ার পরও দেশের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় এখানে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ খরচ কম।