আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে দলের ভারাডুবির পর থেকেই রাহুল কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে ওয়ার্কিং কমিটির উপর চাপ দিচ্ছিলেন। তা নিয়ে একপ্রস্থ নাটকের পর গত সপ্তাহে রাহুল পাকাপাকিভাবে দলের পদ ছেড়ে দেন। দলের শীর্ষনেতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কংগ্রেসে এখন পদত্যাগের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। রাহুলের পর ইতিমধ্যেই মিলিন্দ দেওরা ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্যেও তার রেশ পড়েছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ওমপ্রকাশ মিশ্র গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন। রাজ্যে দলের ফল খারাপ ও বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য তিনি বাম ও কংগ্রেসের বোঝাপড়া না হওয়াকেই দায়ী করেছেন। এআইসিসির সবুজ সঙ্কেত সত্ত্বেও রাজ্য নেতৃত্ব হিসেবে তিনি নিজেও তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। এই কারণ দেখিয়ে তিনিও হাইকমান্ডের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। গত রবিবার সোমেনবাবুও দিল্লিতে গিয়ে দলের সদর দপ্তরে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন। যদিও এই মুহূর্তে সভাপতির দপ্তর বস্তুত শূন্য। সোমেনবাবু নিজেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তাঁকে হতে হয়নি। এর আগে ১৯৯৮ সালে রাজ্যে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর তিনি নৈতিক দায় মেনে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন।
লোকসভা নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস আগে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেন সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোমেনবাবু বলেন, ভোটের ফলপ্রকাশের পরদিনই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। সহকর্মীদের অনুরোধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুলের ইস্তফা অনুমোদন না করায় তাঁর আশা ছিল সর্বভারতীয় সভাপতির পদে তিনি বহাল থাকবেন। পরে রাহুল তাঁর সিদ্ধান্ত না বদলানোয় বস্তুতই হতাশ সোমেনবাবু। তিনি বলেন, রাহুলই তাঁকে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যখন সরে গিয়েছেন, তখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ আঁকড়ে থাকা অর্থহীন। তাই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন।
এআইসিসির সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ জানান, তিনি সোমেনবাবুকে প্রদেশ সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন। আগামী ১৯ জুলাই রাজ্যের সমস্ত জেলা সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক ডাকতে বলেছেন সোমেনবাবুকে। তাঁর মতে, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে যিনি আসবেন, তিনিই স্থির করবেন প্রদেশগুলিতে সভাপতি পদে পরিবর্তন হবে কি না। তাই আপাতত সোমেনবাবুই ওই পদে থাকবেন।