ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেট্রো লাইন লাগোয়া জেসপের জমিতে প্রচুর বাড়ি গজিয়ে উঠেছে। ভোটের মরশুমেও নতুন ঝুপড়ি বাড়ি তৈরি হয়েছে। সেই সব বাড়িতে পুরসভার জলের সংযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগও পৌঁছে গিয়েছে। তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছ। পুরসভার দাবি, মেট্রো লাইন তৈরির সময় উচ্ছেদ হওয়া ঝুপড়িবাসীকে ওই ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ীভাবে থাকার কথা বলা হয়েছিল। মানবতার খাতিরে গরিব মানুষকে জল ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগও দেওয়া হয়েছিল। এটাকে জবরদখল বলা যায় না। অন্যদিকে, জেসপের সিকিউরিটি বিল্ডিংয়ের জমি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এদিন পাঁচিল তোলা ওই জমিতেও গিয়েছিলেন সরকারি প্রতিনিধিরা। ম্যাপ হাতে ওই জমিতে দাঁড়িয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেসপ চত্বর তাঁরা ঘুরে দেখেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে আধিকারিকরা বলেন, কিছু জায়গায় জেসপের জমির উপর বাড়ি তৈরি হয়েছে, এটা সকলের মতো আমরাও দেখেছি। বাকি যা যা পাওয়া যাচ্ছে, তা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
জেসপের জমি বেদখল হওয়া নিয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত এই ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও এদিন সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। শ্রীকুমারবাবু বলেন, বন্ধ জেশপের জমি লুট করতে প্রভাশালীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কোথাও সরাসরি বস্তি বসানো হয়েছে। কোথাও ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে কোটি কোটি টাকার জমি দখলের অপচেষ্টা হচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করায় খুনের হুমকি দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জেশপ নিয়ে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। জমি বেদখল রুখতে তাঁর নির্দেশে প্রশাসনের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করলেন। আমরা চাই প্রশাসন জেসপের জমি পুনরুদ্ধার করুক। সমস্ত অবৈধ দখলদারদের তুলে জমি পুনরুদ্ধার করা হোক।