ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীলের বিরুদ্ধেই যাবতীয় অভিযোগ বাড়ি মালিক মনোজ তেওয়ারির। তিনি দাবি করেন, ২৯ এপ্রিল মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকার পাহাপুর রোডে অবস্থিত তাঁর মালিকানাধীন বাড়িটি বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে ভাঙার নোটিস জারি করে কলকাতা পুরসভা। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী দাবি করেন, পুরসভার নোটিস অনুযায়ী তিনি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করলে সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন বরো চেয়ারম্যান। বাড়ি ভাঙার কাজ আটকে দেন। কৌস্তভের আরও অভিযোগ, সেখানে পুলিস উপস্থিত হলেও কিছু করতে পারেনি। চেয়ারম্যানের দল তাদের সেখান থেকে ভাগিয়ে দেয়। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, ওই সম্পত্তি নিয়ে একটি দেওয়ানি বিবাদ রয়েছে। তাছাড়া ওই বাড়িতে একটি স্কুলও চলছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছে।
ওই বিপজ্জনক বাড়ি লাগোয়া আরেকটি বাড়ি রয়েছে। শুনানিতে তাদের তরফে দাবি করা হয়, ওই বিপজ্জনক বাড়ি লাগোয়া একটি যৌথ দেওয়াল রয়েছে। মামলাকারী ওই দেওয়ালটিও ভেঙে দিতে চাইছে। সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সিনহা জানান, পুলিসি রিপোর্টে স্পষ্ট যে ওই বিপজ্জনক বাড়িতে যে স্কুলটি চলছিল তা স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে সুরক্ষার তাগিদেই বাড়িটি ভেঙে ফেলতে হবে। যদি যৌথ দেওলের কোনও ক্ষতি হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে মামলাকারীকেই। এরপরই বিচারপতি সিনহা নির্দেশে জানিয়ে দেন, বিপজ্জনক বাড়িটি ভেঙে ফেলতে হবে। এই কাজে যাতে এলাকায় যাতে কোনও শান্তি বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে মেটিয়াবুরুজ থানাকে।
হাইকোর্টেক এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীল জানিয়েছেন, পুরসভার তরফে এমন কোনও নোটিস জারি করা হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাড়িতে যে স্কুল চলছিল, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাঁদের থানার যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি এমন কোনও বাধা দিইনি। আদালত নির্দেশ দিলে সেই মতো কাজ হবে।’
অন্যদিকে, অবৈধ বলে কলকাতা পুরসভা যে নির্মাণ ভেঙে দিয়েছিল, তা আবার নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ১০৫/৩সি কড়েয়া রোডে ওই অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। পুরসভা প্রথমে অভিযোগ পেয়ে ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙেছিল। কিন্তু, হাইকোর্ট ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর অভিযুক্ত নির্মাণকারী আইনের ফাঁক গলে ফের নির্মাণ করছিল। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক কর্তা বলেন, আদালত গত ৮ জুলাই পর্যন্ত বাড়ি ভাঙায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তারপর শুনানিতে নতুন করে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পর এদিন ওই নির্মাণ পুরোপুরি ভাঙা হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায় এদিন ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৫ নং প্রিন্স রাহিমুদ্দিন লেনের ঠিকানায় একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে মহিলা ইঞ্জিনিয়ার সহ তিন জন ইঞ্জিনিয়ার বাধার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ।