সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
খড়গ্রাম ব্লকের একটা বড় অংশের মানুষ কানা ময়ূরাক্ষী নদীর ধামালিপাড়া হয়ে কান্দি শহরে আসেন। কিন্তু এজন্য তাঁদের ওই এলাকায় দু’টি বাঁশের সাঁকো পেরতে হয়। ওই সাঁকোর উপর দিয়ে কোনওমতে সাইকেল ও বাইক যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু চারচাকা গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। সেজন্য বহুদিন ধরে এলাকার মানুষ এই নদীর উপর কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন।
লোকসভা ভোটের আগে ওই এলাকায় প্রচারে এসেছিলেন জঙ্গিপুরের শাসকদলের প্রার্থী খলিলুর রহমান, খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত সহ অন্যরা। সেসময় বাসিন্দারা তাঁদের কাছে সেতুর দাবি জানান। ইতিমধ্যে ওই সেতু তৈরির প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছে। এদিন পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনের সময় এলাকার বহু মানুষ ভিড় জমান।
ধামালিপাড়ার বাসিন্দা নিহারুল শেখ বলেন, প্রায় ৫০বছর ধরে আমরা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছি। এদিন পরিদর্শন হল। মনে হচ্ছে, এবার কিছু হলেও হতে পারে। হরিনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ২০১৬ সালে আমার ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে তলিয়ে গিয়েছিল। দু’দিন পর ছেলের দেহ ভেসে উঠেছিল। আমি চাই, তাড়াতাড়ি এই সেতু তৈরি করা হোক। আরও কোনও বিপদ যেন না হয়।
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ ইঞ্জিনিয়াররা কানাময়ূরাক্ষী নদীর ধামালিপাড়ায় পৌঁছন। সেখানে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রাথমিকভাবে নদীর তিনটি জায়গা মার্কিং করেছেন তাঁরা। সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। খড়গ্রামের বিধায়ক তথা পূর্তদপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আশিস মার্জিত, জেলাপরিষদ সদস্য শাশ্বত মুখোপাধ্যায় সহ অন্যরা তাঁদের সাহায্য করতে উপস্থিত ছিলেন।
আশিসবাবু বলেন, আমরা নবান্নে সেতুর দাবিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এদিন জমি পরিদর্শন হয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সেতু তৈরি শুরু হবে।