সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
আধার কার্ডের জন্য আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান করা হয়। তারপরেও বায়োমেট্রিক তথ্যের কারচুপি হয়ে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা রেখে সাধারণ মানুষ নিশ্চিত থাকতে পারছেন না। পুলিসের কাছেও বিষয়টি দিনদিন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে জেলা পুলিসের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্ৰাম থানার পুলিস সাইবার প্রতারণার অভিযোগে জামতাড়া গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে গ্ৰেপ্তার করেছে। জেলার স্কুল, কলেজ ও গ্ৰামীণ এলাকায় সাইবার সচেতনতা নিয়ে শিবির করা হচ্ছে। সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে জেলা পুলিস এবার ‘টেন অন টেন’ কর্মসূচি শুরু করেছে। পুলিসের বিশেষ টিম গ্ৰামগুলোতে সাইবার সচেতনতা শিবিরে ও সহায় ক্যাম্পে এই কর্মসূচির কাজ শুরু করেছেন। গ্ৰামের দশজন বাসিন্দাকে মোবাইল দিয়ে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লক ও আনলক করা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই দশজন বাসিন্দা গ্ৰামের আরও দশজন বাসিন্দাকে বিষয়টি শেখাবেন। দশজন করে গ্ৰামবাসীদের শেখানোর প্রক্রিয়া চলবে। আধার নম্বর হোল্ডার ও যাঁদের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর আছে এমন ব্যক্তিই বায়োমেট্রিক লক করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক লক করা হলে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। সাইবার প্রতারকরা তথ্য চুরি করতে পারবেন না। ঝাড়গ্ৰামের ডিএসপি (ডিএমটি) সব্যসাচী ঘোষ এদিন বলেন, ঝাড়গ্ৰামের বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহে দু’টি করে সাইবার প্রতারণা নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে। স্কুল কলেজেও আমরা সাইবার সচেতনতা নিয়ে শিবির করছি। গ্ৰামীণ এলাকার ক্যাম্পগুলিতে বহু মানুষ আসেন। সেখানেও দশজন ব্যক্তিকে আধারের বায়োমেট্রিক লক করার পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। গ্ৰামীণ এলাকার সর্বস্তরে পৌঁছনোই আমাদের লক্ষ্য। যাঁদের শেখানো হচ্ছে, তাঁদের নামের তথ্য রেখে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সেই দশজন আবার কতজনকে শেখাচ্ছেন, তার তথ্য পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকছে। এই কর্মসূচির কাজ কতটা এগচ্ছে তার উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে।
ঝাড়গ্ৰামের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (অপারেশন) গুলাম সারওয়ার বলেন, আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক প্রতারণা রোধ করতে ঝাড়গ্ৰাম জেলা পুলিসের উদ্যোগে ‘টেন অন টেন’ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। পুলিসের বিশেষ টিম গ্ৰামের সচেতনতা শিবির ও সহায় ক্যাম্পগুলোতে দশজন বাসিন্দাকে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লক, আনলক করার পদ্ধতি শেখাচ্ছেন। সেই দশজনকে গ্ৰামের আরও দশজনকে শেখানোর জন্য বলা হচ্ছে। তাঁরা আবার আরও দশজনকে শেখাবেন। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সহ সাইবার প্রতারণা রুখতেই জেলাজুড়ে এই বিশেষ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।