সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
জেলা পরিষদের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব বাগ বলেন, জেলার অন্য জায়গার তুলনায় সাঁকরাইল ব্লকে ভূমির গঠন সমতল। বিষয়টি মাথায় রেখে ভেন্টেড কাজওয়ে তৈরি হচ্ছে। কাজ অনেকটাই হয়েছে। বাকি কাজও তাড়াতাড়ি শেষ করা হবে।
ডুলুং নদীর জল কুবদা খাল হয়ে সুবর্ণরেখা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ফলে এই নদীর জল বাড়লেই কুবদা খালের জল বেড়ে যায়। তখন ধানঘোরী পঞ্চায়েতের কুবদায় খালের দু’পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়দের স্কুল, কলেজ, অফিস, বাজারে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া, এখানকার বাসিন্দারা অন্য ব্লকে যেতেও দুর্ভোগে পড়েন।
নিম্নচাপের জেরে শনিবার থেকে জেলায় টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। ডুলুং নদীর অতিরিক্ত জলে কুবদা খাল ফুলেফেঁপে উঠেছে। খালের জল উপচে কৃষিজমিতে ঢুকে পড়েছিল। সাঁকরাইল ও ঝাড়গ্ৰামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কজওয়ে হলে এরকম সমস্যা আর হবে না।
এলাকার বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েতকর্মী শান্তিরঞ্জন সাউ বলেন, গত কয়েকদিনে বৃষ্টিতে খালের জল বেড়ে খুব অসুবিধা হয়েছিল। অনেকের কাজ থাকলেও খাল পেরিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে আসতে পারেননি। কজওয়ে হয়ে গেলে সাঁকরাইল থেকে ঝাড়গ্ৰামে অল্প সময়ের মধ্যে যাতায়াত করা যাবে।
অপর বাসিন্দা দীনেশ দাস বলেন, কুবদা খালে বছরের অন্য সময় বেশি জল থাকে না। বর্ষায় ডুলুং নদীর জল বাড়লে খালের জল বেড়ে যায়। সেসময় এখানে হাঁটুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝনু বাগ বলেন, কজওয়েটি হয়ে গেলে কুবদা ছাড়াও বনপুরা, চাঁদপাল, পচাখালি, নিগুড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে।
ঝাড়গ্ৰাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারাণ্ডি বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিক খালের উপর কজওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। দু’বছরের মধ্যে সমস্ত জায়গায় এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই উদ্যোগে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে।