সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েতে মোট ২৫জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে বিজেপির ছ’জন, সিপিএমের একজন এবং নির্দল একজন আছেন। বাকি ১৭জন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা এই পঞ্চায়েতে এখন কোরামের অভাবে মিটিং আটকে যাচ্ছে। অর্থ কমিশনের টাকায় টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। একপক্ষ স্বচ্ছতা বজায় রেখে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে কাজের বরাত দিতে চাইছে। যদিও অপরপক্ষ চাইছে, কারা টেন্ডারে অংশ নেবে সেটা ঠিক করবে দল। দলের হস্তক্ষেপে গোটা পঞ্চায়েতের কোথায় কারা কাজ করবে সেটা ঠিক হবে। এই দ্বন্দ্বে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি, বেঁউদিয়া পঞ্চায়েতে প্রায় ২৫লক্ষ টাকায় অর্থ কমিশনের টেন্ডার হয়। প্রধানের ইচ্ছায় ই-টেন্ডার হয়। তাতে ওই পঞ্চায়েতের পাশাপাশি অন্য এলাকার দরপত্র জমা করে। এতেই অন্যপক্ষ ক্ষিপ্ত। কেন পছন্দের ঠিকাদারদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে না তা নিয়েই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। বেঁউদিয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তপন দাস নিজেও পঞ্চায়েতের সদস্য এবং সঞ্চালক। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মেহবুব এবং অঞ্চল সভাপতি তপনবাবুর পক্ষে বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সদস্য আছেন। প্রধানের দিকে দলের মাত্র দু’জন সদস্য। দরপত্র জমা দেওয়া ঠিকাদারদের বরাত দেওয়া নিয়েই ঝামেলা তুঙ্গে উঠেছে। সাধারণ সভার মিটিং এড়িয়ে যাচ্ছেন উপপ্রধান, দলের অঞ্চল সভাপতি সহ সিংহভাগ সদস্য। কোরাম না হওয়ায় মিটিং স্থগিত হচ্ছে। পঞ্চায়েতের অন্যান্য কাজও থমকে যাচ্ছে।
অর্থ কমিশনের টাকায় টেন্ডার প্রক্রিয়া, অস্থায়ী কর্মীদের পুজোর বোনাস সহ চার দফা দাবিতে আজ সাধারণ সভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। মিটিংয়ের চিঠি অনেকে ধরেননি। তাই বৈঠক নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এনিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান অপর্ণা কর বলেন, অনেকে পঞ্চায়েতি নিয়ম সম্পর্কে অবগত নন। সদস্যদের একাংশ অন্যদের কথায় ওঠাবসা করছেন। যেকারণে একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আশা করি, বুধবার সাধারণ সভার মিটিং সফল হবে। সেইসঙ্গে জট কেটে যাবে।
ওই পঞ্চায়েতের সদস্য তথা অঞ্চল সভাপতি তপন দাস বলেন, লোকসভা ভোটের আগে থেকে প্রধানের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। প্রধানকে গাইড করেন তাঁর স্বামী টোকন কর। বিরোধী সদস্যদের নিয়ে প্রধান বোর্ড চালান। আমরা বারবার এনিয়ে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের সঙ্গে প্রধানের যোগাযোগ নেই। কোরাম না হওয়ায় এর আগে একটি অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং এবং একটি সাধারণ সভার মিটিং আটকে গিয়েছে। প্রধানের স্বামী টোকন কর আমাদের বাদ দিয়ে বোর্ড চালাতে চাইছেন। তাই আমরা মিটিংয়ে হাজির হচ্ছি না। টোকনবাবু বলেন, নিয়ম না মেনে পঞ্চায়েত চালানোর পক্ষে রয়েছেন কেউ কেউ। এনিয়ে সমস্যা হচ্ছে।