সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
গরম থেকে বাঁচতে শহরের একচালা বাড়ির লোকজন অনেকেই ঘরের পাশে গাছের তলায় দিন কাটাচ্ছেন। রাতে ঘরের বাইরে শুয়ে থাকছেন। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা। এতকাল গরমে তাঁরা বাড়ির বারান্দা অথবা উঠোনে খোলা হাওয়ায় রাত্রি যাপন করতেন। কয়েক বছর ধরে এলাকায় হাতির আনাগোনা নিয়মিত থাকায় আতঙ্কে বাড়ির বাইরে কেউ ঘুমাতে পারছেন না। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে হাতির আতঙ্ক—উভয় সঙ্কটে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। এরমধ্যে অবশ্য স্বস্তির খবর শুনিয়ে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গেই ঝাড়গ্রাম এলাকাতেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শিরশি গ্রামের বাসিন্দা অমিয় মাহাত বলেন, এখন গ্রামাঞ্চলের অনেকের বাড়িতেই পাখা রয়েছে। তবে গ্রামীণ এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা লেগেই থাকে। ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া এলাকা থেকে আমাদের শালবনী ও কলাবনি এলাকা থেকে মানিকপাড়া এলাকা পর্যন্ত প্রতিনিয়ত হাতির দৌরাত্ম্য রয়েছে। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা রাত বারোটা-একটা পর্যন্ত উঠোনে বা বারান্দায় থাকছেন। হাতি আসার খবর চাউর হয়ে গেলেই তাঁরা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন চন্দ্র হাঁসদা বলেন, অনেক আগেই আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা গ্রামীণ এলাকাতে তীব্র দাবদাহের জন্য সচেতনতামূলক প্রচার করছেন। রোদে বাড়ির বাইরে গেলে কি কি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে, তা নিয়ে মানুষজনকে বোঝানো হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল মিলে ১২টি এসি বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তীব্র দাবদাহে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চটজলদি এই বেডে তাঁদের ভর্তি করা হবে। জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও অসুস্থ বা মৃত্যুর খবর নেই।