সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেচ্ছা আরামবাগ গার্লস স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল। বাবা মায়ের অশান্তির জেরে কিছুদিন ধরে সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার না খেয়েই নিজের ঘরে ঢুকে যায়। মাঝরাতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার মা শম্পা দত্ত বলেন, পরে খাব জানিয়ে মেয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। মাঝেমধ্যেই রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে খাবার খেত। ডাইনিং রুমে ওর খাবার রেখে অপেক্ষা করছিলাম। তারই মাঝে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম ভাঙলে ওকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখি, গলায় দড়ি নিয়ে ঝুলছে। তিনি বলেন, শ্বশুরবাড়িতে মেয়ে ও আমার উপর অত্যাচার করা হতো। বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়ে শহরে চলে আসি। তারপরেও আমার স্বামী নিয়মিত ফোন করে বিরক্ত করত। রাস্তায় হেনস্তা করত। আমার বদনাম করে বেড়াত। মেয়ে সে সব সহ্য করতে পারছিল না। মৃতার বাবা আদিত্য দত্ত বলেন, মেয়ের পড়াশোনার জন্য আরামবাগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে গ্ৰামের বাড়িতে আমাকে চলে আসতে হয়। স্ত্রী আমার কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা, সোনা সব নিয়েছে। এক সঙ্গে আমি থাকতে চেয়েছিলাম। আমি যদি কোনও দোষ করে থাকি পুলিস তদন্ত করে দেখুক। পুলিস জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।