সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
রানাঘাট-১ চক্রের প্রাইমারি এসআই অফিসের অধীনে মোট ৯২টি স্কুল রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন সরকারি কাজে স্কুল শিক্ষকদের অনেককে এই অফিসে আসতে হয়। রানাঘাট-২ বিডিও অফিসের উল্টোদিকেই রয়েছে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসটি। ২০২১ সালের মার্চ মাস নাগাদ এই অফিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিনি সরকার। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, এরপর থেকেই এই চক্রের স্কুলগুলো বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিদর্শকের দ্বারস্থ হলে কোনও সুরাহাই হয় না। প্রায়দিনই অফিসে আসেন না তিনি। কোনও কোনও সপ্তাহে এক-দু’দিন আসেন। আবার কোনও সপ্তাহে আসেন না। শুধু তাই নয়, অফিসে মাঝেমধ্যেই কর্মীদেরও দেখা মেলে না। এদিন জরুরি প্রয়োজনে এসআই অফিসে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে বিভিন্ন স্কুলের ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষককে। তাঁদের মধ্যে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন মাস চারেক আগে কাজে যোগ দেওয়া নতুন শিক্ষকও। বিদ্যালয় পরিদর্শকের দেখা না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তাঁরা।
কোড়াবাড়ি কালিদাস জিএসএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তমাল শেঠ বলেন, নতুন স্কুলে জয়েন করার পরেও এখনও পর্যন্ত জয়েনিং রিপোর্ট হাতে পাইনি। অথচ জেলার সমস্ত সার্কেলে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। গত সপ্তাহে এসআই ম্যাডাম বলেছিলেন যে, আজ তিনি আসবেন। অথচ এলেন না। গাংনাপুর জিএসএফটপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সুদীপ ঘোষ বলেন, যাঁরা কয়েক মাস আগেই অবসর নিয়েছেন বা সদ্য অবসর নেবেন, তাঁদের চূড়ান্ত হয়রানি হচ্ছে। এসআই অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না। আবার গুরুত্বপূর্ণ কাগজ অফিসের ভুলভ্রান্তির কারণেই পর্ষদ থেকে ফেরত চলে আসছে।
এদিন বেলার দিকে রানাঘাট-১ চক্রের এসআই অফিসে গিয়ে দেখা গেল গোটা অফিস যেন খাঁ খাঁ করছে। আধিকারিক থেকে কর্মী কেউই নেই। মাত্র একজন ছিলেন সেখানে। জানা গেল যে তিনি স্পেশাল এডুকেটর। অথচ অফিসের ফাইলপত্র নিয়ে আসা বা কোনও জরুরি কাগজ গ্রহণ করার মতো গ্রুপ ডি কর্মীর কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকেই। অমিত বিশ্বাস নামের সেই কর্মী বলেন, অন্যান্য দিন অফিসে বাকি কর্মীরাও থাকেন। আমাকে ম্যাডাম নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এই দায়িত্ব পালন করছি। এদিকে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বিনি সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। নদীয়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুকুমার পসারী বলেন, এর আগে এই বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ জানাননি। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের জন্য গত দেড় মাস এসআইরা ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু অফিসে কেন কর্মী নেই বা এখন কী সমস্যা হচ্ছে, সেই বিষয়ে আমি এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলব। • নিজস্ব চিত্র