সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ঝাড়গ্রামের সাপধরা এলাকার চাষি স্বপন মাহাত বলেন, স্প্রিংক্লার ব্যবহার করে অনেক উপকার হয়। জেলার কৃষিদপ্তরের সহযোগিতায় এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারছি। খুব উপকার হচ্ছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার নদীগুলিকে সাধারণত বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করতে হয়। বর্ষায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি না হলে মাথায় হাত ওঠে চাষিদের। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। খরিফ মরশুমে ধান ওঠার পর বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কমই থাকে। তাই পুকুর, নদী বা খালের জলকে কম ব্যবহার করে ধানের পর আরও ফসল যাতে চাষ করা যায় সেজন্য বেশ কিছু বছর ধরে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কৃষিদপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিতে সেচের জন্য স্প্রিংক্লারের ব্যবহার যথেষ্ট সুবিধাজনক। ধান কাটার পর জমিতে যে রস থাকে তা দিয়েই আলু সহ বিভিন্ন সব্জির চাষ হয়ে থাকে। তবে কিছু চাষের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ জলের প্রয়োজন। তবে প্রশ্ন স্প্রিংক্লার কী? স্প্রিংক্লার হল এক ধরনের যন্ত্র। যার মধ্যে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে এবং তা দিয়ে জল বৃষ্টির আকারে বাইরে বেরিয়ে আসে। বাগানের গাছে জল দেওয়ার জন্য যেমন স্প্রিংক্লারের ব্যবহার হয়, তেমনি বড় বড় বিল্ডিংয়ে আগুন নেভানোর কাজেও স্প্রিংক্লার ব্যবহার করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-’১৯ সাল থেকে জেলায় স্প্রিংক্লারের ব্যবহার শুরু হয়। সেই সময় জেলায় স্প্রিংক্লার ব্যবহার করা চাষির সংখ্যা ছিল ১৩৩। ২০২২-’২৩ সালে ২ হাজার ২৪৮ জন স্প্রিংক্লারের ব্যবহার শুরু করেন। একইসঙ্গে ২০২৩-’২৪ সালে ১ হাজার ৪৪৩ জন চাষি স্প্রিংক্লারের ব্যবহার শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। চাষিরা যে কোনও ব্লক কৃষিদপ্তরে গিয়ে স্প্রিংক্লারের জন্য আবেদন করলেই তা পাবেন। তাছাড়া অনলাইনেও আধার কার্ড ভেরিফিকেশন করে আবেদন করতে পারবেন। জেলার ৮টি ব্লকের চাষিই এই প্রকল্পে স্প্রিংক্লার নিতে পারবেন।
ঝাড়গ্রামের কৃষিদপ্তরের আধিকারিক অজয় শর্মা বলেন, জলের অপচয় কম হবে। স্প্রিংক্লার ব্যবহার করলে উপকৃত হন চাষিরা। জেলায় এই ধরনের যন্ত্রের চাহিদা অনেকটাই বাড়ছে। ব্লক অফিসে গিয়ে আবেদন করার পর, অনুমোদন মিললেই স্প্রিংক্লার ব্যবহার করতে পারবেন।-ফাইল চিত্র