সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ভোট মিটলেও জেলার নানা প্রান্তে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তাই কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আগামী দু’মাস মেদিনীপুরেই থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। শুক্রবার নারায়ণগড় বিধানসভার কুনারপুর এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে এলাকায় যান অগ্নিমিত্রা। কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। যদিও এরপরেই দলীয় কর্মীরা বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমিত মণ্ডলের বিরুদ্ধেও। বিজেপি কর্মী চন্দন দাস এদিন অগ্নিমিত্রাকে বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের দিন যখন মারধর, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছিল, তখনই আমি ঘটনার খবর পেয়ে জেলা সভাপতিকে জানাই। সুমিত মণ্ডলকেও জানাই। কিন্তু দু’জনের কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
এই বিষয়ে অগ্নিমিত্রাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই নারায়ণগড় বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া মেল আইডিতে সমস্ত তথ্য মেল করেছি। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ পেয়ে এই নিয়ে তিনবার নারায়ণগড় বিধানসভা এলাকায় এলেন অগ্নিমিত্রা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। যদিও সন্ত্রাসের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নারায়ণগড়ের ব্লক সভাপতি সুকুমার জানা বলেন, আমাদের দল সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। যদি সত্যিই এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, দল ও প্রশাসন তা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তবে ভোটে হেরে গিয়ে শুধুমাত্র প্রচারের আলোয় থাকতে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ তৃণমূল মেনে নেবে না। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, এগুলি সব ভিত্তিহীন অভিযোগ, সমস্ত এলাকার মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। ঘরছাড়া আক্রান্তদের নিয়ে এসে জেলা পার্টি অফিসে রাখা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র