সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য পদ থেকে গতবছর ৮ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেন বিতর্কিত বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর অবসরের সঙ্গে সঙ্গেই যাবতীয় বিতর্কেরও অবসান ঘটে। এরপর, পরবর্তী স্থায়ী উপাচার্য না আসা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কলাভবনের অধ্যক্ষ তথা কর্মসমিতির প্রবীণতম সদস্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তবে এর মাঝে বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য খোঁজাও শুরু হয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের জন্য তা বিলম্ব হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মাঝে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়বাবুর কর্মসমিতির সদস্যপদের মেয়াদের শেষ দিন ২৫ মে। ফলে, উপাচার্যের পদে তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে নাকি অন্য কেউ সেই পদে আসীন হবেন তা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিভ্রান্তির মূলে রয়েছে উপাচার্য পদের নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি। বিশ্বভারতীর ‘অ্যাক্ট অ্যান্ড স্ট্যাটিউট’ অনুযায়ী কোনও ভবনের অধ্যক্ষ যদি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদে বসেন, সে ক্ষেত্রে সেই অধ্যক্ষের কর্মসমিতির মেয়াদকাল শেষ হওয়া মাত্রই উপাচার্য পদ থেকেও সরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সঞ্জয়বাবু যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, স্থায়ী উপাচার্য না আসা পর্যন্ত বা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে সঞ্জয়কুমার মল্লিক ওই পদে বসবেন। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়া আগে হবে, সেটাই কার্যকর করা হবে। ফলে, তাঁর কর্ম সমিতির পদের মেয়াদের শেষ দিনে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল। সেক্ষেত্রে কর্মসমিতির পরবর্তী প্রবীণতম সদস্য ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদে বসবেন। এক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি হল ন্যূনতম ১০ বছরের প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন। তেমনটা হলে বিশ্বভারতীর ভাষাভবনের ওড়িয়া বিভাগের অধ্যাপক মনোরঞ্জন প্রধানই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে বসার জন্য সব থেকে বড় দাবিদার হবেন। এমতাবস্থায় বিশ্বভারতীর ‘অ্যাক্ট অ্যান্ড স্ট্যাটিউট’ বেশি মান্যতা পায়, নাকি মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি সেদিকেই নজর সকলের। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেন।