সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
নজরুলের ব্যক্তি জীবনে রোমান্টিসিজম ও তার দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। নজরুলের বাংলাদেশ যাওয়া, সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক ও কবির নাগরিকত্ব পরিবর্তনের বিষয়টির উঠে আসে আলোচনায়। নজরুলকে নিষিদ্ধ করার আইনি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটও উঠে আসে আলোচনায়। জানা যায় অনেক অজানা কথা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানবেন্দ্রনাথ সাহা, প্রাবন্ধিক মইনুল হাসান, গবেষক ও প্রাবন্ধিক সায়ন্তন মজুমদার, বাংলাদেশের অধ্যাপক আকমল হোসেন, পাঁচথুপী কলেজের অধ্যাপক শৈবাল রায় আলোচনায় অংশ নেন। বহরমপুরের বাসিন্দারা এই আলোচনা শুনে সমৃদ্ধ হন।
বরাবর নজরুলের ধারালো লেখায় শাণিত হতো বিদ্রোহের ভাষা। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। অবিভক্ত বাংলার কুমিল্লা থেকে ১৯২২ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। কলকাতায় নিয়ে এসে রাজদ্রোহে অভিযুক্ত করা হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ওই মামলায় নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই সময়ে নজরুলকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। তারপর সেখান থেকে হুগলি জেল হয়ে কবিকে বহরমপুর ডিস্ট্রিক্ট জেলে নিয়ে আসা হয়। ওখানকার দোতলার একটি ঘরে নজরুল ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দি হিসেবে ছিলেন। কিন্তু এই মানসিক হাসপাতালের ভিতরে এখন সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। বহরমপুরবাসী তথা মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষ চাইছে, ওই হাসপাতালের দোতলার ঘরটি আলাদা করে সংরক্ষণ করে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হোক। নজরুলকে নিয়ে আলোচনাচক্র। বহরমপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র