সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএসএফের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সকলকে কাঁটাতারের গেট পেরিয়ে পুজোর স্থানে প্রবেশ করতে হয়। এপারে ভাটুপাড়া ওপারে বাংলাদেশের রুদ্রনগর। মাঝখানে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট একটি খাল, এই খাল দু’ দেশকে আলাদা করেছে। চারিপাশে বিএসএফের নজরদারি। প্রত্যেককে মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে বিএসএফ কর্মীরা পরীক্ষা করার পর ৬৯ নং গেট পেরিয়ে তবেই মিলছে ভিতরে যাওয়ার ছাড়পত্র। তবে বিএসএফ প্রত্যেক বছর এই পুজোর জন্য সহযোগিতা করে।
বাদকুল্লা থেকে গোপাল নিয়ে পুজো দিতে এসেছিলেন বন্দনা অধিকারী। বিয়ের পর দীর্ঘদিন সন্তান না হয় যশাই তলায় মানত করেছিলেন। তাঁর পুত্র সন্তান হয়েছে, সেই পুত্র সন্তানের মাথায় করে গোপাল ঠাকুর নিয়ে পূজো দিতে এসেছেন। এদের মতো কয়েকশো ভক্ত এসেছে গোপাল ঠাকুর নিয়ে পুজো দিতে। সরোজ শিকদার বলেন, বাপ ঠাকুরদার কাছে শুনেছি তাঁরাও জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছেন এই পুজো। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার আগে দুই দেশের মানুষ একত্রিত হয়ে পুজো এবং মানত করত।
পুরোহিত রজত অধিকারী বলেন, কতদিন আগে এই পুজো শুরু হয়েছে বলা মুশকিল, তবে আমরা তিন পুরুষ ধরে এই পুজো করে আসছি। সকাল ন’টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত পুজো ও আরাধনা করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। ভাটুপাড়া নফরচন্দ্রপুরের বিএসএফ কমান্ডার দয়ারাম সিং বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ আসছেন, পুজো দিচ্ছেন, তাই নিরাপত্তার কারণে কিছু নিয়ম নীতির মধ্যে দিয়ে সকলকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। যশোমতী মায়ের পুজো। -নিজস্ব চিত্র