সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৫ অক্টোবর। ঘারাউন্দায় বিজেপি প্রার্থী হরবিন্দর কল্যাণের সমর্থনে প্রচারে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের অন্দরের এই লড়াইকে নিশানা বানান খট্টর। তাঁর কটাক্ষ, ‘কংগ্রেসের অন্দরে এতই সংঘাত যে, কে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে (ভূপিন্দর সিং হুডা ও দীপিন্দর হুডা) লড়াই চলছে। বাবা বলছেন আমি মুখ্যমন্ত্রী হব, ছেলে বলছেন আমি। দাবিদার রয়েছেন অন্য আরও বহু নেতা। তাঁদের মধ্যে আমাদের একজন দলিত বোন (কুমারী শেলজা প্রসঙ্গে) রয়েছেন। তিনি (গোঁসা করে) বাড়িতে বসে রয়েছেন। তাঁর জন্য আমাদের প্রস্তাব রয়েছে। তিনি চাইলে আমরা তাঁকে দলে নিতে প্রস্তুত।’ তাহলে কি ভোটের আগে কুমারী শেলজা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে খট্টর বলেন, সম্ভাবনা বলেও একটা কথা রয়েছে। সম্ভাবনা কখনও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উপযুক্ত সময় সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ভোটের আগে হরিয়ানায় কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে বিজেপি যে তুরুপের তাস করছে, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। আর তা বুঝেই ক’দিন আগে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, কুমারী শেলজা আমার খুব ভালো বন্ধু। তিনি ভূপিন্দর হুডার নামে কোনওদিন একটা কথা বলেননি। হুডাও শেলজার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। হরিয়ানার এই ভোটে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়ব। তবে চিদম্বরম যাই বলুন, তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। বিজেপি যে হুডার সঙ্গে শেলজার বিরোধকে উস্কে দিয়ে সুবিধা লোটার কৌশল নিয়েছে, খট্টরের মন্তব্যেই তা স্পষ্ট। বিজেপি দল ভাঙাতে চাইছে বুঝে শেলজার মান ভাঙানোর চেষ্টায় নেমেছেন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি বলেন, শেলজা দলের প্রবীণ নেত্রী। তিনি কংগ্রেসের প্রতি অনুগত, দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। পরিস্থিতির উপর হাইকমান্ড নজর রাখছে। বিজেপির উপদেশের প্রয়োজন নেই আমাদের।