সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলেই অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এনিয়ে নিম্ন আদালতে চলছে একাধিক মামলা। তবে রাজ্যের আদালতে এব্যাপারে শুনানির উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ তোলে সিবিআই। সেই সূত্রেই যাবতীয় মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরানোর জন্য আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন ছিল তার শুনানি। আর সেখানেই শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয় সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজুকে।
বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ এদিন সিবিআইয়ের আবেদন পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এজেন্সির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি ওক, ‘এসব কী লেখা হয়েছে? আপনারা কী করে বলতে পারেন যে পশ্চিমবঙ্গের আদালতে শুনানির পরিবেশ নেই? বিচারকরা নিজেদেরই নিরাপত্তা দিতে পারে না? ট্রায়াল কোর্টে ঠিক মতো শুনানিই হচ্ছে না? সিবিআইয়ের তরফে এইরকম অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক।’ প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী রাজু আমতা আমতা করতে থাকেন। বলেন, ‘আমি ঠিক মতো দেখিনি।’
তখন পাল্টা চেপে ধরে সুপ্রিম কোর্ট। ক্ষুব্ধ বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘এ তো সাদা কালো অক্ষরেই লেখা আছে। কে লিখেছে? যিনিই এই আবেদন লিখে থাকুক, আগে থাকে ক্ষমা চাইতে বলুন। একটা রাজ্যের যাবতীয় আদালতকে কালিমালিপ্ত করা যায় না। মামলা খারিজ।’ চাপের মুখে পড়ে মামলা তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করে নিতে চান সিবিআইয়ের আইনজীবী। বলেন, ‘আদালতকে অপমান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তারপরও যদি আবেদনের ভাষায় কিছু ভুল হয়ে থাকে, তা অনিচ্ছাকৃত।’ সর্বোচ্চ আদালত সিবিআইকে মামলা প্রত্যাহারের অনুমোদন করেনি। তবে চাইলে, নতুন করে আবেদন করার ছাড়পত্র দিয়েছে।
বিধানসভা ভোট পরবর্তী সংঘর্ষের একটি জামিন সংক্রান্ত মামলারও এদিন শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। অভিজিৎ সরকার নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলেই তাঁর পরিবারের অভিযোগ। সেই মামলায় সম্প্রতি দুই অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মৃতের পরিবার। এদিন বিচারপতি বেলা এম দ্বিবেদী এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ সেই মামলায় বিবাদী সিবিআইয়ের উদ্দেশে নোটিস জারি করেছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তার জবাব হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে।