নয়াদিল্লি (পিটিআই): বিদেশ থেকে বেআইনিভাবে বিপুল অর্থ জমা পড়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)-র তহবিলে।  ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশ থেকে এই অর্থ এসেছে। এই টাকার পরিমাণ ৭ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এমনই অভিযোগ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এক্ষেত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (এফসিআরএ), জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিএ) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া নথিতে এমনই দাবি করেছে ইডি। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে আপ। তাদের দাবি, ‘দলের বদনাম করতেই এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’ 
দিল্লিতে লোকসভার নির্বাচন ২৫ মে। তার আগে ইডির তরফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পেশ করা নথিতে দাবি করা হয়েছে, আপের তহবিলে এই অর্থ জমা পড়েছে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব, সংযুক্ত আমিরশাহি, কুয়েত, ওমান সহ একাধিক দেশ থেকে। কিন্তু, অনুদান যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের নাম দলের তরফে গোপন রাখা হয়েছে। দলের অভিযুক্ত নেতাদের তালিকায় রয়েছে আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠকের নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ২০১৬ সালে কানাডায় তহবিল সংগ্রহ ইভেন্ট থেকে সংগৃহিত অর্থ ব্যক্তিগত সুবিধার্থে সরিয়ে ফেলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, অনিকেত সাক্সেনা (আপের ওভারসিজ ইন্ডিয়ার কো-অর্ডিনেটর), কুমার বিশ্বাস (আপের তৎকালীন ওভারসিজ ইন্ডিয়ার আহ্বায়ক), কপিল ভরদ্বাজ (তৎকালীন আপ সদস্য) এবং দুর্গেশ পাঠক সহ বিভিন্ন আপ স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে  ই-মেলের আদানপ্রদান থেকে বিষয়বস্তু পরীক্ষা করেই সংশ্লিষ্ট অভিযোগগুলি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। 
এদিকে, আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালকে নিগ্রহের মামলায় অভিযুক্ত বৈভব কুমারকে সোমবার নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। বিকেল পাঁচটা ৪৫ মিনিট নাগাদ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিবকে দিয়ে সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। মালিওয়ালের এফআইআরের ভিত্তিতে শুক্রবারই বৈভবকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিস।