সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
এবার মহারাষ্ট্রে লড়াই মূলত বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া ও এনডিএ’র। একদিকে, কংগ্রেস-এনসিপি (শারদ পাওয়ার)-শিবসেনা (উদ্ধব)। অন্যদিকে, বিজেপি, সিন্ধের শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি। মুম্বই উত্তর-মধ্য আসনও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০১৪ সালে এই আসন কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী গেরুয়া শিবিরের প্রয়াত নেতা প্রমোদ মহাজনের কন্যা পুনম মহাজন। কিন্তু দলের নিজস্ব সমীক্ষার ফল পুনমের পক্ষে না যাওয়ায় বিজেপি প্রার্থী বদল করেছে বলে সূত্রের খবর। এই আসনের দু’বারের সাংসদের বদলে এবার পদ্ম-শিবির নিকমের উপরেই আস্থা রেখেছে। ২৬/১১ মুম্বই হামলা, ১৯৯৩ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ , প্রমোদ মহাজন হত্যাকাণ্ড সহ একাধিক হাইপ্রোফাইল মামলায় সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন তিনি। এই সব মামলা যেমন নিকমকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তেমনি বিতর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় একমাত্র ধৃত জঙ্গি জেলে বিরিয়ানি-চিলি চিকেন খেতে চাইছে বলে দাবি করেছিলেন নিকম। তাঁর এই দাবি ঘিরে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০১৫ সালে নিকম দাবি করেন, কাসব অমন কিছু খাবার চায়নি। ওই পাক জঙ্গির প্রতি কোনও সমবেদনা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্যই ওই মন্তব্য করেছিলেন। এবার নিকমকে প্রার্থী করে জাতীয়তাবাদের হাওয়ায় বিজেপি কিস্তিমাত করতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। প্রচারেও কাসবের ফাঁসির পিছনে নিকমের ভূমিকার কথা তুলে ধরছে বিজেপি।
এই লোকসভা আসনে মোট ভোটারদের ৬ লক্ষই মারাঠি ভাষী। ৩ লক্ষ উত্তর ভারতীয়। দক্ষিণ ভারত থেকে এখানে বসবাসকারী ভোটার সংখ্যাও লক্ষাধিক। গুজরাত ও রাজস্থানে থেকে আসা ভোটারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ১.৯ লক্ষ। আর মুসলিম ৩ লক্ষ। গতবার অবিভক্ত শিবসেনার সমর্থন ছিল বিজেপির পিছনে। এবার উদ্ধবের দল ভাগ হয়েছে। আর উদ্ধব নিজে পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীর। তাঁর মারাঠা অস্মিতার ডাক মুম্বই উত্তর-মধ্য আসনে বিজেপির লড়াই কঠিন করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্ষা বলছেন, এবারের লড়াই সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা এই ভোটের লড়াই কাজে লাগছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। আর মোদির জনপ্রিয়তার উপর ভরসা রাখছেন নিকম। সেইসঙ্গে তিনি দেশের মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের জন্য কাজ করবেন বলেন জানিয়েছেন।
এখানকার ছ’টি বিধানসভার মধ্যে ভিলে পার্লে ও বান্দ্রা পশ্চিম রয়েছে বিজেপির দখলে। চান্দিভালি ও কুরলাতে রয়েছে সিন্ধের দলের বিধায়ক। আর বান্দ্রা পূর্ব কংগ্রেসের। যানজট, পরিকাঠামোর অভাব, দূষণ এই লোকসভা কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এখন বর্ষা ও নিকমের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসেন, সেটাই দেখার।