প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
হাঁসখালির ব্লক কৃষি অধিকর্তা অরিন্দম দাস বলেন, খুবই ভালো উদ্যোগ। আমাদের ‘আতমা’ প্রকল্পে ওকে যেটুকু সাহায্য করা যায় তা করব। ওঁর এই বিকল্প চাষে আরও যাতে প্রসার ঘটে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জেলা কৃষি দপ্তরের কর্তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরাও এটা নিয়ে ভীষণ উৎসাহিত।
ওই চাষি বলেন, আমার এক পরিচিতর মাধ্যমে এই গাছের চারা আনিয়েছিলাম। টিস্যু কালচারের গাছ। ফলে যেকোনও আবহাওয়ায় গাছ বেঁচে থাকবে। গোবর, কেঁচো সার দিয়ে এই চাষ করেছি। আপেল চাষটা নিচু জমিতে হয় না। তাই মাটি ফেলে জমিটা উঁচু করতে হয়েছে। এই জমিতে আগে পাট, ধান চাষ হতো। ১৩ মাস আগে গাছ লাগিয়েছিলাম। এখন গাছগুলি পাঁচ থেকে ছ’ফুট মতো বড় হয়েছে। একটি গাছ তিন-চার বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এখন একটা গাছে ৩০টি, একটা গাছে ৭৮টি আপেল ফলেছে। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এখান থেকে কম করে ৩০০টি ফল পাওয়া যাবে। জমি উঁচু করা, লোহার নেট বসিয়ে জায়গাটি ঘেরায় আমার খরচ একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। তবে আপেল চাষ খুবই লাভজনক। ঠিক মতো করতে পারলে ভালোই লাভ করা সম্ভব। আমি কিছুটা পরীক্ষামূলকভাবে করায় খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশের সিমলায় প্রথম আপেল চাষ শুরু হয় উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড সহ কয়েকটি রাজ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলেও আপেল চাষ হতে পারে। প্রায় ৪৫-৪৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাতেও আপেল চাষ হতে পারে। এরকম আবহাওয়ায় কেমন হয় আপেল চাষ, তার গুণগতমান দেখতে এদেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিম্ন শীতল প্রজাতির আপেল চাষ শুরু হয়েছে। এই প্রজাতির আপেলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অ্যানা, গোল্ডেন ডোরসেট, মাইকেল, হরমন ৯৯ প্রভৃতি। এইসব প্রজাতির আপেল চাষ এখন ভারতের উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে করা হচ্ছে। কিছু জায়গায় সাফল্যও মিলেছে। এরাজ্যেও দু-একটি জায়গায় চাষে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।