কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডাবল-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বিরাট। গত সপ্তাহে ইডেনে আয়োজিত গোলাপি বলে ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্টে ১৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তার সুফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। স্টিভ স্মিথকে টপকে সেরার সিংহাসন ফিরে পেয়েছেন কিং কোহলি। ৯২৮ পয়েন্ট নিয়ে ভারত অধিনায়ক শীর্ষে রয়েছেন। তাঁর থেকে পাঁচ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে স্মিথ। আসলে অজি তারকাটি অ্যাসেজের ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে। অ্যাসেজে তিনি চার টেস্টে ৭৭৪ রান করে কোহলিকে সিংহাসনচ্যূত করেছিলেন। বল বিকৃতিকাণ্ডের জেরে এক বছর নির্বাসিত থাকায় অনেক পিছিয়ে পড়েছিলেন স্মিথ। তবে বাইশগজে ফিরেই আইসিসি’র টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে স্মিথ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে তাঁর এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। তবে বিরাটও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর আশেপাশে নেই অন্য দেশের কোনও ক্রিকেটার। কোহলিকে টেক্কা দিচ্ছেন রহিত শর্মা। পয়েন্টের বিচারে বিরাট অনেকটাই এগিয়ে ‘হিটম্যান’এর থেকে।
স্মিথের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ অবশ্যই দুর্বল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুবিধা কাজে লাগাতে না পারা। ডেভিড ওয়ার্নার যখন পাক বোলারদের তুলোধনা করে অ্যাডিলেডে গোলাপি টেস্টে তিনশো রান করেছেন, সেখানে সিরিজে স্মিথের সংগ্রহ মাত্র ৪ ও ৩৬ রান।
প্রথম দশে রয়েছেন বিরাট সহ আরও দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ৭৯১ পয়েন্ট নিয়ে চেতেশ্বর পূজারা আছেন চতুর্থ স্থানে। অজিঙ্কা রাহানে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছেন ৭৫৯ পয়েন্ট নিয়ে। তবে র্যাঙ্কিংয়ে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। অ্যাডিলেড টেস্টে তিনি ৩৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ক্রমতালিকায় ১২ ধাপ উন্নতি করে ওয়ার্নার আছেন পঞ্চম স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার আর এক ব্যাটসম্যান লাবুশানেও ছ’ধাপ উপরে উঠে অষ্টম স্থান দখল করেছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্তিম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি দলের হার বাঁচিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট ৭৫২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছেন।
বোলারদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগিসো রাবাদার (৮৩৯) সঙ্গে তাঁর পয়েন্টের ব্যবধান ৬১। প্রথম দশে আছেন ভারতের তিন বোলার যশপ্রীত বুমরাহ (পঞ্চম), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (নবম) ও মহম্মদ সামি (দশম)। তবে চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলেননি বুমরাহ। তাই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির সুযোগ ছিল না তাঁর সামনে। কিন্তু মহম্মদ সামি লাল বলে ঘরের মাঠেও আগুন ঝরাচ্ছেন। তার জেরে পাঁচ ধাপ উপরে উঠে এসেছেন সামি। ৭৭২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।