মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে রঘুনাথপুর থানার বেড়ো গ্রামে, সাঁতুড়ির রামচন্দ্রপুর, মুরাডি, মধুকুণ্ডা এলাকায় এবং নিতুড়িরার নিমডাঙা গ্রামে লিফলেটগুলি রাস্তায় ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। লিফলেট পড়ে থাকার খবর মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন মোবাইল মারফত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানার পুলিস বেশকিছু লিফলেট উদ্ধার করে নিয়ে আসে বলে জানা গিয়েছে।
রঘুনাথপুর বিধানসভার দুঃখী জনসাধারণের নামে ওই লিফলেট ছাপানো হয়। তাতে বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি ছাড়াও তাঁর সর্বক্ষণের ছায়া সঙ্গী শেখ আমজাদের নামও রয়েছে। যা নিয়ে স্বভাবতই নানা প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। সতর্কীকরণ হেডলাইন নাম দিয়ে শুরু করা লিফলেটে প্রথম খণ্ড প্রকাশিত করলাম ও দ্বিতীয় খণ্ড শীঘ্রই প্রকাশিত হবে জানিয়ে তা শেষ করা হয়েছে।
লিফলেটে অভিযোগ আনা হয়েছে, ২০১১ সালে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জনদরদি, প্রকৃত, জনহিতকর কাজের মানুষ হিসেবে পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে বিধায়ক হিসেবে জিতিয়ে এনেছিলেন। জনগণের ভোটে জেতা দু’বারের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র এখন জনগণকে ‘পায়ের জুতা’ বলে মনে করেন। মানুষ বিপদে পড়ে তাঁর বাড়িতে গেলে তিনি দেখা করেন না। নিজে গরিবের ভোটে জিতে এসির হাওয়ায় দালান কোঠায় ঘুম দেন। অথচ সেই বিধায়ক ছদ্মবেশে মানুষ সেজে মুখে হাসি নিয়ে এখন লোক দেখানো ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি করছেন।
এছাড়াও লিফলেটে বিধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে। বিধায়ক প্রতি গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা বললেও তা না করে নিজের বাড়িতে গভীর নলকূপ খনন করেছেন। জনগণের টাকা, ক্লাব অনুমোদিত ২ লক্ষ টাকা খাতায় কলমে ঠিক রেখে চারটি বাস কিনেছেন। এছাড়াও বিধায়কের ছায়া সঙ্গী হিসেবে থাকা শেখ আমজাদ শিশু প্রকল্পের প্রচুর টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে ফোন করলে তিনি কেটে দেন। এসএমএস করলেও কোনও জবাব দেননি। তবে শেখ আমজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে শিশু প্রকল্পের টাকা হাতানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে এমন কোনও প্রকল্পই নেই। তাই এলাকায় গুজব ছড়াতে বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাত বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এটা যে বিরোধীদের কাজ তা বলাই যায়।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি কোনও কাজ চুপি চুপি করে না। যা বলে ও করে তা খোলা ময়দানে করে। এখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরে সত্যকে তুলে ধরতে প্রচার করছে।
বিষয়টি নিয়ে সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য দীননাথ লোধা বলেন, লিফলেট প্রচার তৃণমূল দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। সঠিক তদন্ত হলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।