উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
ওইদিন সকালে ফরাক্কার খুন্তিপাড়ার বাসিন্দা এজু শেখ বহরমপুরে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার জন্য নিউ ফরাক্কা স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসেন। সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। সিটে বসার পর তিনি বুঝতে পারেন সব টাকা খোয়া গিয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। এজু বলেন, চিকিৎসা করাতে বহরমপুর যাচ্ছিলাম, কিছুই বুঝতে পারিনি। পাশের যাত্রী বলায় দেখি, ব্লেড দিয়ে প্যান্টের পকেট কেঁটে ১৫হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমি রেল পুলিসের কাছে পুরো ব্যাপারটি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। সঠিকভাবে তদন্ত করলেই ছিনতাইবাজরা ধরা পড়বে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই নিউ ফরাক্কা জংশন স্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে। অথচ রেলযাত্রীরা স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। কারণ, একের পর এক পকেটমারি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। টাকা, সোনার গয়না সহ জিনিসপত্র খোয়া যাচ্ছে সাধারণ মানুষজনের। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায়শই পকেটমারি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও তা রোধে কোনও হেলদোল নেই রেল পুলিসের।
জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে নিউ ফরাক্কা স্টেশনে ফরাক্কার রামনগরের গৃহবধূ রেশমা খাতুনের ১২হাজার টাকা খোয়া যায়। পকেটমারের কারসাজি বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইভাবে মালদহের এক ব্যক্তির ৫০হাজার টাকা খোয়া যায়। দার্জিলিং মেলে ছিনতাইবাজদের কবলে পড়ে কার্শিয়াংয়ের মহকুমা শাসকের স্ত্রীর নগদ ৫০হাজার টাকা সহ মোবাইল ও এটিএম কার্ড খোয়া যায়। এমনকী মাসখানেক আগে ছিনতাইবাজকে ধরতে চলন্ত ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেল ট্রেন থেকে নিউ ফরাক্কায় ঝাঁপ দেন এক গৃহবধূ। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ সোনিয়া কুমারীর অভিযোগ করেন, ঘুমন্ত অবস্থায় থাকার সময় তাঁর একবছরের শিশুকে নিয়ে পালাচ্ছিল ছিনতাইবাজ। গৃহবধূ জখম হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কোনও ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি জিআরপি। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কায় ভুগছেন যাত্রীরা। এব্যাপারে এক যাত্রী তৈমুর শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্টেশনে নিরাপত্তার কোনও বালাই নেই। পকেটমার ও ছিনতাইবাজদের দাপট চললেও রেল পুলিস নীরব। শুধু স্টেশনের আধুনিকীকরণ করলেই হবে না, যাত্রীদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে বেল পুলিসকে।