পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ডিপথেরিয়া সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার গর্ভবতী মায়েদের টিটেনাসের পাশাপাশি ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে। এনিয়ে সোমবার স্বাস্থ্যভবনে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমাদের জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(সদর) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক(সদর) প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ইউনিসেফ ও হু প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত সোমবার বৈঠক হয়েছে। সেখানে স্থির হয়েছে গর্ভবতী মায়েদের দেওয়া টিটেনাস ভ্যাকসিন(টিটি) শেষ হলেই টিটেনাস ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন(টিডি) চালু হবে। কয়েক মাসের মধ্যেই এটা চালু হবে। এর সাথে ১০ ও ১৬ বছরের ছেলে মেয়েদেরও এই ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এই রোগের সংক্রমণ না হয়।
ডিপথেরিয়া একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এতে যথেষ্ট মৃত্যু হার রয়েছে। এমনকী, দীর্ঘদিন ধরে রোগ ভোগের জেরে শরীরকে অকেজো করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ব্যাকটেরিয়া। বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ভারত। তাই দেশে ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। সেখানে পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ভ্যাকসিনেশন যথেষ্ট নয়। ২২ বছরের পর থেকেই তাই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। চিন্তার বিষয় যা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে এই রোগের বেশ কিছু সাধারণ রোগ লক্ষণ থাকায় জেলার হাসপাতালগুলিতে এই সংক্রান্ত রোগীর আলাদা কোনও নথি থাকে না। তাই এই ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগীর প্রকৃত সংখ্যাটা জানা যায় না। তাও যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে। তাই গর্ভবতী মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরও।
গত সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিরেক্টর অব হেল্থ সার্ভিস) অজয়কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্ব জেলার প্রতিনিধিদের নিয়েও বৈঠক হয়। সেখানেই গর্ভবতী মায়েদের ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েদের দু’মাস অন্তর দুটি টিটেনাস ভ্যাকসিন(টিটি) দেওয়া হয়। যদি কেউ তিনবছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন সেক্ষেত্রে একটি টিটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু এবার থেকে টিটেনাস ভ্যাকসিনের সঙ্গে ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন মিশিয়ে দেওয়া হবে। যার নাম টিডি ভ্যাকসিন। এটি গর্ভবতী মায়েদের দু’বার দেওয়া হবে। অন্যদিকে পাঁচ বছর বয়সের পর আবার ১০ ও ১৬ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদেরও এই রোগের বিরুদ্ধে অনাক্রমতা গড়ে তুলতে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে। তবে এখনই এটি শুরু হচ্ছে না। মজুত টিটি ভ্যাকসিন শেষ হওয়ার পরেই ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের অর্ন্তগত এই বিশেষ ভ্যাকসিনটি দেওয়া শুরু হবে। দপ্তরের আশা তিনমাসের মধ্যেই এটি শুরু হয়ে যাবে।