নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর না করায় রোষের মুখে পড়েছিলেন মালদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন বাসন্তী বর্মণ। তাঁকে পুলিস দিয়ে এজলাসে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশের পর হলফনামা জমা দিয়ে ‘ক্ষমা’ চেয়ে আপাতত হাজিরা ও গ্রেপ্তারি এড়ালেন বাসন্তী বর্মণ। বাম আমলে অর্থাৎ ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন মোফিজা খাতুন। ২০১০ সালে তিনি নিয়োগ পান। কিন্তু ২০১২ সাল নাগাদ তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর শিক্ষাগত ও বিভিন্ন নথির গরমিল থাকার অভিযোগে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর বরখাস্তের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মোফিজা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে তাঁকে চাকরিতে পুর্নবহালের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় তিনি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এবার আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন । সেই মামলার জেরে শেষপর্যন্ত ২০২৩ সালে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর তাঁর বকেয়া বাবদ যাবতীয় সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযোগ সেই নির্দেশ কার্যকর করলেও মোফিজার সার্ভিস ‘কনটিনিউয়েশন’ ও ‘কনফার্মেশনের’ বিষয়ে দেওয়া নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় বাসন্তী বর্মণকে গ্রেপ্তার করে এজলাসে হাজির করানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে এদিন হলফনামা দিয়ে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আদালতের যাবতীয় নির্দেশ ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে তাই তাঁর গ্রেপ্তারি ও হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক। যদিও মোফিজার আইনজীবী রবিউল ইসলাম দাবি করেন তিনি তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য বুঝে নেওয়ার পরই চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। আদালত অবশ্য ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারি ও হাজিরায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি।