আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
প্রথমেই জাপানে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন এবং তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য শিনজো আবেকে ধন্যবাদ জানান মোদি। জি-২০ চেয়ারম্যান হিসেবে আবের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন তিনি। মোদি আশ্বাস দিয়েছেন অক্টোবরে নারুহিতোর অভিষেকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অবশ্যই যাবেন। একইসঙ্গে জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে চলতি বছরেই ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি। এই বৈঠক সম্পর্কে বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ‘গঠনমূলক এবং বিস্তারিত আলোচনা’ হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে নিজের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরেন শিনজো আবে। বিশ্ব অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি নিয়েও দুই ‘পুরনো বন্ধু’র মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এরই ফাঁকে পলাতক আর্থিক অপরাধী এবং দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ প্রসঙ্গটিও ওঠে। নীরব মোদি থেকে বিজয় মালিয়ার মতো পলাতক আর্থিক অপরাধীদের দেশে ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র। কিন্তু বিভিন্ন দেশের প্রত্যর্পণ আইনের ফাঁকে আটকে এই সংক্রান্ত ফাইল। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জি-২০ ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, তাও উল্লেখ করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার মধ্যে মুম্বই-আমেদাবাদ হাইস্পিড রেল করিডর এবং মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে একটি কনভেনশন সেন্টার তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতে পরিকাঠামো প্রকল্পে জাপানের কাজের প্রশংসা করেন মোদি। পরে জাপানি শহর কোবেতে অনাবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’দেশের সম্পর্কের বাঁধন আরও মজবুত হয়ে উঠছে। গাড়ি থেকে বুলেট ট্রেন মিলিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের আর্থিক বিকাশে জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মোদি জানান। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন দুই দেশ গাড়ি তৈরি করত। আজ মিলিতভাবে বুলেট ট্রেন তৈরি করছে। ২০২২ সালের মধ্যে মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে প্রথম বুলেট ট্রেন ছুটবে বলে কেন্দ্রের দাবি।
শিনজো আবের পাশাপাশি জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ অন্যান্য দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে।