আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
গত বছর সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে মৃতের প্রকৃত তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বছর ঘুরতে ঘুরতে সেই অভিযোগ ফিরে এল তাদের দল পরিচালিত সরকারের দিকেই। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নিন্দার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক ২০ হাজার সংক্রমণের মধ্যেও সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজকে ‘জরুরি পরিষেবা’র ছাড়পত্র দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে তারা। সিএনএন, দি গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল, দি ইকনমিস্টের মতো মার্কিন ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই ইস্যুতে সরাসরি আঙুল তুলেছে প্রধানমন্ত্রী মোদির দিকে। বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তেও করোনা পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা মুছতে ব্যস্ত মোদি সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টও এর আগে ভারতজুড়ে মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র হওয়ার কথা প্রকাশ করেছে। এবার ফের তারা সামনে এনেছে করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য গোপনের ছবি। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখ্যপাত্র।
মার্কিন সংবাদপত্রের ওই খবরে প্রকাশ, শ্মশানের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ওই তিন শহরের সরকারি তথ্যের আকাশপাতাল ফারাক। সরকারি হিসেব বলছে, গত এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে রাজকোট এবং সংলগ্ন জেলায় করোনায় মারা গিয়েছেন মোট ২২০ জন। কোভিডে মৃতদের জন্য ওই শহরে নির্দিষ্ট সাতটি শ্মশান রয়েছে। এর মধ্যে একটি শ্মশানেই ৬৭৩টি করোনা রোগীর দেহ সৎকার হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে গাড়িতে অপেক্ষারত অবস্থায় কোভিড পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় দু’সপ্তাহ পরেও ডেথ সার্টিফিকেট না মেলার কথাও লেখা হয়েছে ওই খবরে।
ভোপালের ভাদভাদা শ্মশানের কর্মী মমতেশ শর্মাও কথা লেখা হয়েছে সেখানে। গত ১১ এপ্রিল থেকে করোনায় মৃতদেহ সৎকারের হিসেব লেখা রয়েছে তাঁর খাতায়। তাতে প্রতিদিন ৩৪ থেকে ১০০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। অথচ সরকারি নথিতে ওই সময়কালে কোনওদিনই করোনায় মৃত্যু ১০-এর উপরে ওঠেনি। তাজমহলের শহর আগ্রার ছবিও একই। সরকারি হিসেবে এপ্রিল মাস থেকেই সেখানে ১৩ পার করেনি কোভিডে মৃতের সংখ্যা। অথচ শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্মশানের প্রধান পুরোহিত চন্দর প্রকাশ নোটনানির দাবি, রোজ অন্তত ১০০ মৃতদেহ সেখানে আসছে, যার অধিকাংশই প্লাস্টিকে ব্যাগে মোড়া। অথচ সরকারি হিসেবে গোটা জেলায় মাত্র পাঁচজন কোভিডে মারা গিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের সরকারের শীর্ষ আধিকারিক নবনীত সেহগল অবশ্য অনলাইন পোর্টালে তথ্য আপলোডের ত্রুটির কথা বলেই দায় সেরেছেন। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়ছে মোদি সরকারের।