উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এনামুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে একাধিক পুলিসকর্তার নাম পাওয়া যায়। কাকে কত মাসোহারা দেওয়া হতো তার পরিমাণ এতে উল্লেখ রয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছে। এনামুলের কললিস্ট পরীক্ষা করে অফিসাররা জেনেছেন, কয়েকজন পুলিসকর্তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে তাঁর, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি কল্লোল গনাই ও অ্যাডিশনাল এসপি হেডকোয়াটার্স অংশুমান সাহা। এই বিষয়ে তথ্য জানতেই তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে নোটিস যায়। কিন্তু তাঁরা হাজির হননি। উল্টে নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান। তার মাঝেই ফের ডেকে পাঠানো হয় দুই আইপিএস অফিসারকে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ দু’জনে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে হাজির হন। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কতদিন সেখানে পোস্টিং ছিলেন। কারা কারা তাঁদের অধীনে ছিলেন। গোরু পাচার রোধে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তা জানতে চান অফিসাররা। দু’জনেই জানান, যখন যেখানে গোরু পাচারের খবর এসেছে তখনই সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গোরু। তাঁরা জানান, গোরু পাচার করা হয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে। পাচার আটকানো বিএসএফের কাজ। অফিসাররা জানতে চান, এনামুলের সঙ্গে তাঁদের কেন যোগাযোগের প্রয়োজন হয়ে পড়ল। দুই অফিসারই বলেন, তাঁরা কোনওদিনই এনামুলকে ফোন করেননি। উল্টে ওই গোরু পাচারকারী বিভিন্ন সময়ে তাঁদের ফোন করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কোনও ধরনের সুবিধা এনামুলকে দেননি। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এই পুলিসকর্তরা। এরপরই তাঁদের সামনে গণেশ বাগারিয়া ও এনামুল-ঘনিষ্ঠদের বয়ান তুলে ধরে অফিসাররা জানতে চান এনামুল মাসোহারা দিতেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার কতটা বাস্তবতা রয়েছে। দু’জনেই দাবি করেন, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এরপর তাঁদের আয়কর রিটার্ন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ অন্যকিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়। তাঁদের বক্তব্য যাচাই করা হচ্ছে।