উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
হবিবপুরের এই নাটক শেষ হতে না হতেই মালদহ জেলার পরিষদ নিজেদের পকেটে পুরো নিল বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন। হেস্টিংয়ের যোগদান মেলাতেই জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। দিলীপবাবুর কথায়, ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পরিষদের ২৩ জন এই মুহূর্তে বিজেপির। তাঁরা আইন অনুযায়ী জেলা শাসকের কাছে যাবতীয় সরকারি কাগজপত্র জমা করেই দলবদল করছেন বলেও জানান দিলীপবাবু। বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলায় প্রথম মালদহ জেলা পরিষদ দখলের তৃপ্তির হাসিও দেখা যায় মেদিনীপুরের এমপি’র মুখে। নাটক কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। এই একই মঞ্চে তৃণমূলের পাঁচ-পাঁচজন বিদায়ী বিধায়কও এদিন দিলীপবাবুর হাত ধরে জার্সি বদল করলেন। তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় এঁদের কারও নাম নেই। যাঁর মধ্যে অন্যতম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী সোনালি গুহ। বিজেপিতে যোগদান করে তিনি বলেন, আমার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নম্বরও নেই। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেছিলেন, দিদি তোকে ফোন করবে। সারারাত সামনে জেগে থাকলেও ফোন পাইনি। উনি আগে থেকে বলে দিতে পারতেন, তোর নাম প্রার্থী হিসেবে নেই। তাহলে এত অপমানিত হতাম না। আক্ষেপের সুরে আরও বলেন, এবার সাতগাছিয়া থেকে জিতলে জ্যোতি বসুর পাঁচবারের রেকর্ড স্পর্শ করতাম, সেটাই হয়ত দলনেত্রী চাননি। তাই টিকিট পাইনি। পাশাপাশি অশীতিপর দুই বিধায়ক জটু লাহিড়ি ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, প্রবীণ বিধায়ক শীতল সর্দার এবং প্রাক্তন ফুটবলার বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসও এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। একই মঞ্চে যোগ দেন টলিউডের অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীও।