উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রথম দফার ভোটে কত শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর সেই প্রসঙ্গে ওই দুই পর্যবেক্ষকের বক্তব্য, সব বুথই স্পর্শকাতর। তাই পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, প্রথম দফার পাঁচটি জেলার ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এই দফাতেই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার একটি অংশে ভোট রয়েছে। জঙ্গলমহলে ভোট থাকায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে এবং পুলিসের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে পুলিস পর্যবেক্ষক থাকবেন। অর্থাৎ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একজন সাধারণ পর্যবক্ষেক এবং একজন পুলিস পর্যবেক্ষক থাকবে। আর দু’-তিনটি কেন্দ্র ধরে একজন করে হিসেব সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক থাকবে। বিজেপির পক্ষ থেকে হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপার সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, সৌম্য রায়ের স্ত্রী লাভলি মৈত্র তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন। এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, কোনও প্রার্থীর নিকটআত্মীয় ভোটের কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। ফলে সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নগদ টাকা, মদ, সোনা এবং নানা সামগ্রী উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। পুলিস, আয়কর, আবগারি ও এনফোর্সমেন্ট বিভাগ এই উদ্ধারের কাজে যুক্ত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা মূল্যের নানা সামগ্রী ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এটাই সব থেকে বড় উদ্ধার। এই ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি করতে বিশেষ ব্যয় পর্যবেক্ষক বি মুরলী কুমার কলকাতায় আসেন। তিনি সন্ধ্যায় আয়কর, পুলিস, আবগারি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেন। কালো টাকা ব্যবহারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে এখন থেকে প্রতিদিন বিকাল ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদি তাঁরা কলকাতায় থাকেন। তবে এর মধ্যেই জেলা সফরে বেরবেন। বালিগঞ্জের বিএসএফ গেস্ট হাউসে কনফারেন্স রুমে একটি মিটিং রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক ছাড়া কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। অজয় নায়েক জানিয়েছেন, আমরা সকলের সঙ্গে দেখা করব। সকলের কথাই শুনব। আমরা চাই, কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে যেন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে। ভোট হোক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ।
অন্যদিকে, প্রশিক্ষণে না গেলে শোকজের চিঠিতে ভোটকর্মীদের সাসপেনশন ও চার্জশিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত অপমানজনক বলে মনে করে ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চ। ঐক্যমঞ্চ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে ওই ভাষা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।