মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
রেশন ডিলারদের কমিশনের অর্ধেক কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে থাকে। বাকি অর্ধেক রাজ্য সরকার বহন করে। কমিশন খাতে এখন মোট বরাদ্দ আছে কুইন্টাল প্রতি ৭০ টাকা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে রেশনের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। ডিস্ট্রিবিউটরদের ১৬ টাকা ও ডিলারদের ৫৪ টাকা করে কমিশন দেওয়া হয়। ডিলারদের এবার আরও ১৬ টাকা কমিশন দেবে সরকার। সব মিলিয়ে বৃদ্ধির পর ডিলারদের কমিশন দাঁড়াবে কুইন্টাল প্রতি ৭০ টাকা।
রেশন ডিলারদের সংগঠন অবশ্য এই বৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট নয়। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, তাঁরা আড়াইশো টাকা কমিশনের দাবি থেকে সরছেন না। এর থেকে কম টাকা কমিশনে দোকান চালানো সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকেও কমিশন বাড়াতে হবে।
রাজ্য সরকার অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, আড়াইশো টাকা কমিশন দেওয়া সম্ভব নয়। ডিলারদের আয় বাড়ানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে তাঁরা আয় করতে পারবেন। শপিং মল সংস্থার পণ্য কম দাম রেশন দোকান থেকে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার ডিলারদের বর্ধিত হারে কমিশনের আর্থিক দায় নিতে চাইছে না। কয়েকটি রাজ্যে সেখানকার সরকার অতিরিক্ত আর্থিক দায় নিয়েছে। তবে চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একটি সংস্থাকে কমিশন বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে। এর আগে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক কমিশন বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠালেও তা অর্থ মন্ত্রক খারিজ করে দেয়। এবার বিশেষজ্ঞ সংস্থা রিপোর্ট দেওয়ার পর তা আবার অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে।