ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ফেসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইজরায়েলি সংস্থার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ভারতীয় সাংবাদিক, কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্তাদের মোবাইল হ্যাকের চেষ্টা করেছিল। চারটি মহাদেশের ১৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইজরায়েলি সংস্থা। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার নিজস্ব প্রযুক্তি অনুপ্রবেশকারীকে আটকে দেয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে। আপনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন, কথা বলুন— সব কিছুর উপর নজরদারি চালাতে হবে! রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শুধু নয়, আইএএস এবং আইপিএস অফিসাররাও ছাড় পাচ্ছেন না। তাঁদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। দু’টি রাজ্য সরকারও আড়ি পেতেছে। তার মধ্যে একটি বিজেপির সরকার। তবে রাজ্য সরকারগুলির নাম বলব না।
এদিন খিদিরপুরের তক্তাঘাট ও দইঘাটে ছটপুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন সাংসদ সুব্রত বক্সি সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঙ্গার ধারের ঘাটগুলি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বাংলায় সব ভাষাভাষীর মানুষ, সব ধর্মের মানুষ তাঁদের উৎসব পালন করতে পারবেন। বাংলা কখনও অসম হবে না। সবাই এখানে আনন্দের সঙ্গে থাকতে পারবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুণ্যার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা আনন্দের সঙ্গে ছট পুজো করুন। কলকাতা পুলিস, রাজ্য পুলিস, বাংলার সরকার আপনাদের পাশে আছে। আমি ১৯৮৪ সাল থেকে এই সব ঘাটে আসি। আগের তুলনায় অনেক বদলে গিয়েছে ঘাটগুলি। আলো লাগানো হয়েছে। আপনারা সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ে গঙ্গায় নেমে সূর্যদেবতার পুজো করেন। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ, সব জাতের মানুষ, সব ভাষাভাষীর মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারবে। কোনও ভেদাভেদ চলবে না। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে কেউ যেন আঘাত না করে। মুখ্যমন্ত্রী তক্তাঘাট থেকে হেঁটে দইঘাটে যান। রাস্তার দু’ধারে মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। তিনিও অনেকের সঙ্গে করমর্দন করেন। শিশুদের আদর করেন। তবে দইঘাটে এত ভিড় হয়েছিল যে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ থেকে নীচে নেমে আসেন। পুলিসের জিপে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিছু পরেই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতা না করেই সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে হেঁটেই ওয়াটগঞ্জের দিকে এগিয়ে যান।