ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ স্তরে রাজ্য, কেন্দ্রের পাশাপাশি কিছু বেসরকারি স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। গবেষণা কিংবা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপ পান। গত শিক্ষাবর্ষে কতজন এই আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, তার হিসেব কেন্দ্রীয় পোর্টালে জমা পড়েছে। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠান পিছু কতজন পড়ুয়া রয়েছেন, আর কতজন এই আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, তার হিসেব জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে মোট স্কলারশিপ পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩২ জন। তার মধ্যে ছাত্রীরা অনেকটাই এগিয়ে। ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৭৬ জন ছাত্রীর তুলনায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৫৬ জন ছাত্র এই আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। যদিও সব বর্ষ মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষের বেশি। সংরক্ষিত এবং অংসরক্ষিত বিভাগের মধ্যে ফারাকও রয়েছে যথেষ্ট। যেমন এই স্কলারশিপ পেয়েছেন, এমন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭১২ জন। ২ লক্ষ ১ হাজার ৫২০ জন সংরক্ষিত বিভাগের পড়ুয়া এই সুবিধা পেয়েছেন।
দেশের অন্যান্য রাজ্যের কী হাল? সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ পেয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের পড়ুয়ারা। সেখানে ৪২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পেয়েছেন এই সুবিধা। তারপরেই তেলেঙ্গানা (৪১ শতাংশ)। তালিকায় মধ্যপ্রদেশ (৩০.৫৩ শতাংশ), মহারাষ্ট্র (২৯.০৮ শতাংশ), কর্ণাটক (২৮.৯১ শতাংশ) সহ একাধিক রাজ্য রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে গুজরাত (২১.০৬ শতাংশ), ছত্তিশগড় (৩২.৩৭ শতাংশ), তামিলনাড়ুর (২৩.১৬ শতাংশ) মতো রাজ্যও। জাতীয় গড়ে দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে এই আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন ৬ কোটি ৭ লক্ষ ৯২ হাজার ১১৩ জন। তবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৫ কোটি ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮০ জন।
রাজ্যের কেন এই হাল? শিক্ষামহলের মতে, রাজ্যের স্কলারশিপের উপরই বেশি নির্ভর করেন ছাত্রছাত্রীরা। কন্যাশ্রী কিংবা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের প্রাপকের সংখ্যা কম নয়। তবে বহু কেন্দ্রীয় স্কলারশিপের ক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে। অনেক প্রকল্পের টাকা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আবেদন করার পরও সময় লেগে যায় তা পেতে। তাই হয়তো সংখ্যার রকমফের হয়েছে। তবে আবেদন করার পরের প্রক্রিয়া আর মসৃণ হলে আগামীদিনে স্কলারশিপের হার আরও কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।