শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবারই জানিয়েছেন, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতন কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হবে। সাধারণত কমিশন সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর তা পর্যালোচনা করার জন্য মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠিত হয়। সেখানে পর্যালোচনার পর সরকার কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন যে প্রথম পর্বের রিপোর্ট পেশ করেছে, তা গ্রহণ করা হবে। সরকারি কর্মী মহল তাই আশা করছে, অর্থ দপ্তর এবার রোপা-২০১৯ বিধি চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করবে। জানুয়ারি মাসের আগেই ওই বিধির বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
রোপা চূড়ান্ত হলে ডিএ-র ব্যাপারে রাজ্য সরকারের ভাবনাচিন্তা কী, সেটা জানা যাবে। ইতিমধ্যে স্যাট একটি মামলার রায়ে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য কর্মীদের ডিএ দিতে (বকেয়া সহ) নির্দেশ দিয়েছে। স্যাটের রায়ে বলা হয়েছে, বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার আগে কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে হবে। রায়ের তিন মাসের মধ্যে ডিএ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করতে বলেছে স্যাট।
সরকারি কর্মীরা কোন সময় থেকে বকেয়া অর্থ পাবেন বা আদৌ কিছু পাবেন কি না, সেটাও রোপা থেকে জানা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে। এর আগে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করেছিল ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে। রাজ্য সরকার কিন্তু পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে নতুন বেতন হার চালু করেছিল ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে। রোপা ২০০৯-এ জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে এক বছরের বকেয়া বেতন ও ভাতার টাকা তিনটি কিস্তিতে কর্মীদের দেওয়া হবে। ২০০৬-এর জানুয়ারি থেকে ২০০৮-এর মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ের কোনও বকেয়া যে দেওয়া হবে না, এটাও রোপা-তে বলে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্ধিত বেতন জানুয়ারি থেকে চালু হওয়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু ২০১৬ সালের জানুয়ারি বা তার পরের কোনও সময় থেকে বকেয়া দেওয়া হবে কি না, সেব্যাপারে এখনও সরকার কিছু বলেনি। রোপা বিধি জারি হলে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ডিএ-র বিষয়টি রোপা থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে রোপা ২০০৯-এর সঙ্গে ডিএ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। ২০০৮-এর এপ্রিল থেকে ২০০৯-এর এপ্রিলের পরবর্তী সময়ে কী হারে ডিএ দেওয়া হবে, সেটা উল্লেখ করা ছিল রোপা-তে। কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য কর্মীদের ডিএ দেওয়ার জন্য এখন জোরালো দাবি উঠেছে। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার তখন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয়নি। ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ১৬ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার কথা জানানো হয় রোপা-তে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কর্মীরা ২০০৯-এর জানুয়ারি থেকেই ২২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন। পরবর্তীকালে বাম সরকারের সময়েও রাজ্য কর্মীরা কখনওই কেন্দ্রের সমহারে ডিএ পাননি।
রোপা কী
বেতন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারি কর্মীদের নতুন হারে বেতন কাঠামো ও ভাতা নির্ধারণের জন্য সরকার একটি বিধি তৈরি করে। পে কমিশনের ভিত্তিতে নয়া বেতন চালু হওয়ার আগে ওই বিধির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এটিকে ‘রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্স রুল’ (রোপা) বলা হয়। পঞ্চম বেতন কমিশনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন নির্ধারণের জন্য ২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘রোপা-২০০৯’ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ওই বছরের এপ্রিল থেকে নতুন বেতন হার কার্যকর হয়েছিল।