মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এই চিঠিতে কলকাতা পুলিসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর—এই চারদিনে দিল্লিতে কতজন রোমানিয়ান নাগরিক রয়েছেন? তারা দিল্লির কোথায় রয়েছেন? পাশাপাশি, এই তদন্তে ভারতে আসা রোমানিয়ান নাগরিকদের ‘সি ফর্ম’ (বিদেশি নাগরিককে হোটেল, গেস্ট হাউসে আশ্রয় দিলে, তার তথ্য সম্বলিত ফর্ম) চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার।
মঙ্গলবারের পর নতুন করে ‘স্কিমার’ মেশিন লাগিয়ে এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে কলকাতা পুলিসের কাছে। যাদবপুর, চারু মার্কেট, কড়েয়া, নেতাজিনগর থানার পর বুধবার শহরের উল্টোডাঙা এবং পর্ণশ্রী থানায় নতুন করে অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত কলকাতা পুলিসের কাছে মোট ৭০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যাতে গ্রাহকদের খোয়া যাওয়া টাকার অঙ্ক ১৪ লক্ষ ৫ হাজার।
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কলকাতার গোলপার্ক এলাকায় স্কিমার মেশিন লাগিয়ে কানাড়া ব্যাঙ্কে এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে পলাতক রোমানিয়ান নাগরিক অ্যাড্রিয়ানো লুপুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিস। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দক্ষিণ কলকাতার এই এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে রোমানিয়ান নাগরিক সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও লুপু পালিয়ে যায়। এবার যাদবপুর কাণ্ডের পর সেই লুপুর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে লালবাজার।
বুধবার নতুন করে দক্ষিণ দিল্লির কোনও এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়নি বলেই লালবাজার জানাচ্ছে। এদিকে, বুধবার সকালে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের দ্বিতীয় দলটি দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লি পুলিসের সাহায্য নিয়ে তাঁরা দিল্লির হোটেল, গেস্ট হাউস, ভাড়া ফ্ল্যাটে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছেন। মূলত, রোমানিয়ান নাগরিকরা দিল্লির যে এলাকায় বেশি বসবাস করেন, সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।