সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জমে গেল ঘরোয়া লিগ। নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ঘরোয়া লিগে মিনি ডার্বির ফলাফল ২-২। সম্মানের লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দুই গোলদাতা সামাদ ও রবিনসন সিং। দু’বার পিছিয়ে পড়েও ইস্ট বেঙ্গলকে সমতায় ফেরান জেসিন টিকে। এই ড্রয়ের পর খেতাবি লড়াই আরও জমজমাট। ১৫ ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের সংগ্রহ ৪১ পয়েন্ট। অপরদিকে, এক ম্যাচ কম খেলে ডায়মন্ডহারবার এফসি’র প্রাপ্তি ৩৬ পয়েন্ট। উল্লেখ্য, ডায়মন্ডহারবার ছাড়াও ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি ইস্ট বেঙ্গলের। সেক্ষেত্রে লিগের শেষপর্বে চাপ বাড়ছে বিনো জর্জের উপর।
গতবার মহমেডানের কাছে হেরেই লিগের দৌড় থেকে ছিটকে যায় ইস্ট বেঙ্গল। ম্যাচের আগে ফুটবলারদের পইপই করে সতর্কও করেন কেরালাইট কোচ। তাতে লাভের লাভ হয়নি। বরং লাল-হলুদের বিপক্ষে লিগের সেরা ম্যাচটা খেলল রেড রোডের পাশের ক্লাব। ২১ মিনিটে জোসেফের মাইনাস থেকে ফাঁকা গোলে বল প্লেস করেন সামাদ (১-০)। সারা ম্যাচেই পাহাড়ি জোসেফের গতি রুখতে হিমশিম খেলেন হীরা। বিরতির আগে ম্যাচে ফেরে বিনো ব্রিগেড। তন্ময়ের ভলি পা ঠেকিয়ে দিক পরিবর্তন করে দেন জেসিন (১-১)। ৫১ মিনিটে ছিটকে আসা বল থেকে জোরালো গ্রাউন্ডারে জাল কাঁপান রবিনসন সিং (২-১)। ৭৭ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে ডজ করে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান জেসিন (২-২)।
মহমেডানকে হারাতে পারলে লিগ মুঠোয় পুরে ফেলত ইস্ট বেঙ্গল। তা না হওয়ায় হতাশ লাল-হলুদ শিবির। কাঠগড়ায় চিফ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের আগেরদিন সকালে রিজার্ভ দলকে অনুশীলন করান বিনো। এরপর সিনিয়র দলের প্র্যাকটিসে আমন, শ্যামল, তন্ময় সহ ছয় ফুটবলারকে ডেকে নেন কুয়াদ্রাত। একে প্রবল আর্দ্রতা। তার উপর দু’বেলা অনুশীলনে ছিবড়ে হওয়া ফুটবলাররা মাঠে দাঁড়াতেই পারছিলেন না। তুলে নিতে হয় সায়ন, বিষ্ণুদের। এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, ঘরোয়া লিগের ম্যাচে বিষ্ণু, সায়নদের ৪৫ মিনিটের বেশি খেলানোতেও আপত্তি রয়েছে কুয়াদ্রাতের। টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা। লিগ হাতছাড়া হলে কুয়াদ্রাতের সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে সময় লাগবে না।