সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে একটু অচেনা পিচই দেখা গেল চিপকে। বল সুইং করছে। বাউন্স হচ্ছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিপক্ষের টুঁটি টিপে ধরার চেষ্টা চালালেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম ধাক্কাটাই দিলেন ভারত অধিনায়ককে ফিরিয়ে। মাত্র ৬ রান করেই ড্রেসিং রুমে ফিরলেন রোহিত শর্মা। মনে হল, এখনও তিনি হলিডে মুডেই রয়েছেন। খাতা খুলতে ব্যর্থ শুভমান গিল। প্রায় ন’মাস পর টেস্টে নেমে হতাশ করলেন বিরাট কোহলিও। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ৬ রানে ধরা পড়লেন লিটন দাসের হাতে। তিনটি উইকেটই নেন হাসান মাহমুদ।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড় রানের ভিত গড়ার চেষ্টা করেন ঋষভ পন্থ। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের সংগ্রহ ৬২। তবে সেট হয়েও বড় রান হাতছাড়া করেন ঋষভ (৩৯)। চাপের মুখে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন যশস্বী। বলা ভালো, তাঁর রুখে দাঁড়ানো সংকল্পই বাকিদের উৎসাহিত করে। অবশ্য লোকেশ রাহুল ৫২টি বল খেলেও দাগ কাটতে পারেননি। তিনি ১৬ রানে আউট হওয়ার পর মনে হয়েছিল, ভারতের স্কোর হয়তো দু’শোর গণ্ডিও টপকাবে না।
কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায় রবি-জুটির দাপটে। তাঁদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ভারতকে বার বার খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছে। ঢেকে দিয়েছে তারকাদের ব্যর্থতা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। বাংলাদেশের বোলাররা ভাবতেই পারেননি, এভাবে মুখের গ্রাস কেড়ে নেবেন অশ্বিন ও জাদেজা।
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় প্রথম দু’টি স্থান অ্যাশ ও জাড্ডুর দখলে। সেটা যে পড়ে পাওয়া নয়, তা আবারও প্রমাণ করলেন তাঁরা। অশ্বিনের এটি ষষ্ঠ শতরান। এই চিপকেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে দলকে টেনে তুলেছিলেন এভাবেই। ১০৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর ব্যাট করতে নেমে হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। সেই স্মৃতি ফিরল মেরিনা বিচের পাশের মাঠে। সতীর্থকে দেখে উজ্জীবিত জাড্ডুও। তাঁর ৮৬ রানের ইনিংসে ধরা পড়েছে নাছোড় মনোভাব। তবে অশ্বিন সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। ৯১.০৭ স্ট্রাইক রেটে উপহার দিয়েছেন রাজকীয় ইনিংস। সেটাই ভারতীয় দলের কাছে হয়ে উঠেছে সঞ্জীবনী সুধা।
ভারত ৩৩৯-৬