সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
প্লে-অফের জন্য এদিন অন্তত ১৮ রানে জিততে হতো বেঙ্গালুরুকে। অর্থাত্, ২১৯ রান তাড়া করা চেন্নাই ২০১ তুললেই নকআউটের টিকিট অর্জন করত। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াল ম্যাচ। ৬ বলে ১৭ রানের প্রয়োজন ছিল চেন্নাইয়ের। যশ দয়ালের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু পরের বলে বড় শট মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে ক্যাচ আউট তিনি। যশের তৃতীয় বল ডট। চতুর্থ ডেলিভারিতে এল এক রান। অর্থাত্, শেষ দুই বলে তখন দরকার ১০ রানের। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা চেন্নাইকে জয়ের কড়ি এনে দিতে ব্যর্থ। যশের পঞ্চম ডেলিভারি ডট হতেই আরসিবি শিবিরে উত্সব শুরু হয়ে যায়। শেষ বলেও কোনও রান হয়নি। টানা ছ’টি ম্যাচ জিতে প্লে-অফে পৌঁছনোর খুশিতে বাঁধনছাড়া উল্লাসে মাতেন বিরাটরা।
আসলে চেন্নাইয়ের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। আর সেটাই শেষ পর্যন্ত ডোবাল তাদের। ফর্মে থাকা ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় খাতাই খুলতে পারেননি। চূড়ান্ত ব্যর্থ তিনে নামা ড্যারিল মিচেলও (৪)। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রাচীন রবীন্দ্র (৬১) ও অজিঙ্কা রাহানে (৩৩)। তবে এই দু’জন আউট হতেই চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। ভরসা জোগাতে পারেননি শিবম দুবে (৭) ও মিচেল স্যান্টনারও (৩)। শেষদিকে অবশ্য ধোনি (২৫) ও জাদেজার (অপরাজিত ৪২) ব্যাটে চেন্নাইয়ের আশা টিকে ছিল। কিন্তু তাঁদের মরিয়া চেষ্টার পরও স্বপ্নভঙ্গ হল হলুদ-ব্রিগেডের।
এদিকে, বড় রানের জন্য শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর ছিল আরসিবি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে তিন ওভারে উঠেও গিয়েছিল ৩১। কিন্তু বৃষ্টিতে ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর কমে গিয়েছিল আরসিবি’র রানের গতি। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের শেষে রান দাঁড়াল বিনা উইকেটে ৪২। ডু’প্লেসি আটকে যাচ্ছিলেন বার বার। গ্যালারিতে ক্রিস গেইল, অনুষ্কা শর্মার উপস্থিতিতে কোহলিই টানছিলেন দলকে। চিন্নাস্বামীতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৩০০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ভারতের মাটিতে টি-২০ ক্রিকেটে ৯ হাজার রানও হয়ে গেল তাঁর। এবারের আসরে ৬৪.২৬ গড়ে ও ১৫৬.৬০ স্ট্রাইক রেটে ৭০৮ রান করে ফেললেন তিনি। এদিন যদিও তিন রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া হল বিরাটের (৪৭)। তবে চলতি প্রতিযোগিতায় ৩৭ ছক্কা মারলেন ভিকে, যা সর্বাধিক। ছয় মারতে গিয়ে কোহলি আউট হওয়ার পর পঞ্চাশে পৌঁছন ডু’প্লেসি। ৩৯ বলের ইনিংসে আরসিবি ক্যাপ্টেন মারেন তিনটি চার ও তিনটি ছয়। চারে নামা রজত পাতিদারের ২৩ বলে ৪১ রান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে মিডল ওভারে। গ্রিন (অপরাজিত ৩৮), কার্তিক (১৪), ম্যাক্সওয়েল (১৬) ঝড় তোলেন স্লগে। অন্যদিকে, এদিন গ্যালারিতে ভারতীয় ফুটবল দলের বিদায়ী অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টার মেলে ধরেন দর্শকরা। তাতে লেখা ছিল ‘থ্যাঙ্ক ইউ স্কিপার’!