উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এ ব্যাপারে নান্টুবাবু বলেন, সময়মতো আমি পদত্যাগপত্র দলকে দিয়ে দেব। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নান্টুবাবু দলীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রার্থীকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেও সরাসরি আক্রমণ করেন। সেইসঙ্গে নির্দল প্রার্থী হিসেবে শিলিগুড়ি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রচারেও নেমেছেন। নান্টু পালের ছবি সহ ফ্লেক্সে ভোটের প্রচারে শিলিগুড়ি শহরে ছেয়ে গিয়েছে।
এতকিছুর পরেও তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? বুধবার সংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার বলেন, নান্টুবাবু পদত্যাগ করার কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি তখন বাইরে ছিলাম। তাঁকে আমি হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগপত্র পাঠাতে বলেছিলাম, উনি পাঠাননি। আর দলবিরোধী কাজ তিনি করছেন কি না সেই ব্যাপারে আমাদের দলের রাজ্য নেতৃত্বের নজর রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে গেলে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কাজেই নান্টুবাবুর বিষয়টিও রাজ্য নেতৃত্বের নজরে এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সময়মতো রাজ্য নেতৃত্ব এর ব্যবস্থা নেবে। এ কথা বললেও এদিন রঞ্জনবাবু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, বিজেপি টাকা, ক্ষমতা দিয়ে, সিবিআই, ইডি’র ভয় দেখিয়ে আমাদের দল ভাঙছে। এখনও যাঁরা বিজেপিতে যেতে চাইছেন তাঁদের অনুরোধ করব তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মধ্য দিযে যে জায়গায় উঠে এসেছেন প্রলোভনে পড়ে সেই লড়াইকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধে যুদ্ধ করতে নেমেছে। তাই আমরা চাই না আমাদের একজনও সহকর্মী অন্য কোনও দলে চলে যান। বিজেপির সমালোচনা করে রঞ্জনবাবু বলেন, এদের কোনও স্থানীয় মুখ নেই। অন্যদলের নেতা ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানাবে। নান্টু পালের সমর্থনে শিলিগুড়িতে পোস্টার। -নিজস্ব চিত্র