উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজে যে ভর্তি ফি ধার্য করা হয়েছে তা দেওয়া সম্ভব নয়। সেকারণেই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, পড়ুয়াদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজোল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া বলেন, করোনার সময় কলেজ বন্ধ ছিল। অথচ ভর্তির সময় কলেজের বিদ্যুৎ বিল, ইউনিয়ন ফি, কমন রুম ফি নেওয়া হচ্ছে। এগুলো কমানো হোক। বিক্ষোভে এই দাবিগুলিই রাখা হয়েছে। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
গাজোল কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, কলেজে ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কলেজে যেতে পারেনি। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা ভর্তি ফি কমানোর দাবি রেখেছে। কিন্তু তা কলেজের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়। সেটি আগে থেকেই রয়েছে। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভর্তি ফি নিয়ে ছাত্রদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। করোনার জন্য পড়ুয়ারা কলেজের ধার্য ফি দিতে চাইছে না। তারা এদিন যে আন্দোলন করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তাকে সমর্থন জানিয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিনা ব্যানারে আন্দোলনে শামিল হয়। সেটা দেখে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদও করেছে। এনিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। তবে আমরা পড়ুয়াদের পাশে আছি।
এ বিষয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের গাজোল ব্লক সম্পাদক সুজিত মণ্ডল বলেন, পড়ুয়াদের স্বার্থে আমরা ফি কমানোর দাবি তুলে আন্দোলনে শামিল হয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছুই বন্ধ ছিল। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ সবকিছু রিচার্জ ধরে নিচ্ছে। এতে বহু পড়ুয়া সমস্যার সম্মুখীন হবে। যে কারণে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের মুখে ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে দুই পৃথক ছাত্র সংগঠনের আন্দোলন এদিন বাড়তি মাত্রা পায়। এদিন বিক্ষোভকারী ছাত্ররা জাতীয় সড়কে অবরোধের পর কলেজে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এবিভিপি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা কলেজ অধ্যক্ষের অফিসের গেটের সামনে ধর্না দেয়। দফায় দফায় ছাত্র আন্দোলনের জেরে এদিনের কলেজের স্বাভাবিক কাজকর্ম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। নিজস্ব চিত্র