উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি গ্রামের বাসিন্দাদের রাস্তা তৈরির দাবি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। ওই এলাকার নমোপাড়া ও সন্দেশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন অনেক দিন ধরেই। বেশিরভাগ সময়েই ওই রাস্তা জলে ডুবে থাকে বলে অভিযোগ তাঁদের। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সংশ্লিষ্ট সব মহলে বারবার দরবার করলেও রাস্তা সংস্কারের দাবি পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই দু’টি গ্রামের বাসিন্দারা।
তাফাজ্জুল শেখ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শুনেছি জেলাজুড়ে অসংখ্য রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আমাদের দুই গ্রামের মধ্যবর্তী একটি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পড়ে রয়েছে। বারবার দাবি জানালেও কেউ ফিরেও তাকাননি আমাদের দিকে। প্রাপ্য নাগরিক অধিকার থেকেই আমরা যখন বঞ্চিত, তখন আর ভোট দেব কেন?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই দুই গ্রামে হাজার দুয়েক ভোটার রয়েছেন। সকলেই একমত হয়ে এই ভোট বয়কটের মত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
সেলিনা বিবি নামে এক গৃহবধূ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে চরম সমস্যায় পড়ে বাড়ির ছোটরা। আমরা অভিভাবক হিসাবে চরম দুশ্চিন্তায় থাকি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাস্তা না হওয়ায় এবার আর ভোট দেব না।
বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ওই রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে গিয়েছে বলেই জানি। রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আমি একপ্রস্থ কথাও বলেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কনট্রাকটরকেও আবেদন জানিয়েছি রাস্তার কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করার জন্য।
জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ব্লক প্রশাসন ওই বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ভোটদানে অংশ নিতে অনুরোধ করবেন। তবে টেন্ডার হয়ে গিয়ে থাকলেও বা ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হলেও এতদিনে যখন কাজ শুরু হয়নি, তাহলে এখন তা আর শুরু করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধিতে আটকাবে। নির্বাচন মিটে গেলে নিশ্চয়ই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। নিজস্ব চিত্র