কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সম্পাদক শুভায়ু দাস বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগে বেশ কিছু ফাইল লোপাট করার চেষ্টা হতে পারে। এই উদ্দেশ্য পূরণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থ ও শিক্ষাকর্মীদের স্বার্থে আঘাত আসতে পারে। এমনকি পরবর্তীতে পরিকল্পনা করে এই নথি উধাও হওয়ার দায় আমাদের সংগঠনের সদস্যদের উপরেও চাপানোর চেষ্টা হতে পারে। ফাইল লোপাটের চেষ্টা করা হতে পারে, এই খবর বিশেষ সূত্রে জেনে আমরা শনিবার রাত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে রয়েছি। রবিবার ছুটির দিনেও আমরা পরিবার ছেড়ে ক্যাম্পাসে থাকছি এই ধরণের পরিকল্পনা রুখতে।
শিক্ষাকর্মীদের দাবি, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে কখনও নথি লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। আবার কোনও নথি বাইরে থেকে এনে কাউকে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করাও হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কিছুই অসম্ভব নয়।
তবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি পুরো বিষয়টিই অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নথির তত্ত্বাবধায়ক। প্রশাসনিক প্রয়োজনেই অনেক সময় নথি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। তার মধ্যে অন্য কোনও কিছু আশঙ্কা করা ঠিক নয়। তবে এর আগে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নথি উধাওয়ের চেষ্টা হয়েছিল তাও মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে বিপ্লববাবুর দাবি, সেই সময় রেজিস্ট্রার নন বরং অন্য একজনের সম্পর্কে এই অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল।
পাশাপাশি বিপ্লববাবু দাবি করেন, তিনি মালদহে নেই। বাইরে রয়েছেন। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কোনও ফাইল আনার কোনও প্রশ্নই নেই।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহল দাবি করেছে, শনিবার সন্ধ্যায় মালদহে ফিরেছেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, আমরা নির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছি শনিবার সন্ধ্যায় শতাব্দী এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে মালদহে এসেছেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। আন্দোলনরত শিক্ষাকর্মীদের কয়েকজনও একই দাবি করেছেন।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, উপাচার্য পদত্যাগ করায় এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন। রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তিনি মূলত একজন শিক্ষক মাত্র। তাই তিনি যে কারণই দেখান না কেন, কোনও নথি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এই মুহূর্তে নিয়ে যেতে পারেন না।