আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় এবারের রিপোর্টটি তৈরি করেছে গ্র্যান্ট থর্নটন ইউকে এলএলপি। এবছরের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ৮৫০টি ভারতীয় কোম্পানি। গত বছরের রিপোর্টে এই সংখ্যাটা ছিল ৮৪২। এই কোম্পানিগুলির মোট টার্নওভার ৫০.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। গত বছর তা ছিল ৪১.২ বিলিয়ন পাউন্ড। বর্তমানে এই ভারতীয় সংস্থাগুলিতে কাজ করছেন ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৬ জন। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার ৭৯৩। ভারতীয় সংস্থাগুলি কর্পোরেশন ট্যাক্স দিয়েছে ৪৫৯.২ মিলিয়ন পাউন্ড। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৪৬১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। বর্তমানে ৪৭ শতাংশ ভারতীয় সংস্থার বোর্ডে অন্তত একজন করে মহিলা রয়েছেন। গত বছর ২০ শতাংশ সংস্থার বোর্ডে অন্তত একজন মহিলা সদস্য ছিলেন।
ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ২০২০ সালে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা ব্রিটেনে লগ্নির প্রক্রিয়া বজায় রেখেছিলেন। গোটা বছরে ব্রিটেনে দশটি অধিগ্রহণে (ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ) যুক্ত ছিল ভারতীয় সংস্থাগুলি। এর মধ্যে চারটি প্রযুক্তি ও টেলিকম ক্ষেত্রে। দু’টি উৎপাদন ক্ষেত্রে।
ব্রিটেনে ভারতীয় মালিকানাধীন দ্রুততম বৃদ্ধির সংস্থা কোনগুলি, সেই ট্র্যাকারও রয়েছে এবারের রিপোর্টে। এই বছর ৪৯টি ভারতীয় সংস্থা ট্র্যাকারের প্রয়োজনীয় যোগ্যতামান পূরণ করেছে। এই সংস্থাগুলির গড় রেভিনিউ বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ। এই নিয়ে টানা আট বছর সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রযুক্তি ও টেলিকম সংস্থাগুলি। এবছর দ্রুততম বৃদ্ধির সংস্থাগুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিড়লাসফট সলিউশনস। ১৫৮ শতাংশ রেভিনিউ বৃদ্ধি হয়েছে এই সংস্থাটির। সর্ববৃহৎ সংস্থার শিরোপা পেয়েছে ডিলিজেন্ট (টাটা সন্সের মালিকানাধীন)। রেভিনিউয়ের পরিমাণ ৩৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড। বৃদ্ধির হার ৬২ শতাংশ। দ্রুততম বৃদ্ধির ভারতীয় সংস্থাগুলির ৫৩ শতাংশই লন্ডনে অবস্থিত।
এবছরের ট্র্যাকার দেখাচ্ছে, দ্রুততম বৃদ্ধির অর্ধেকের বেশি (৫৩ শতাংশ) সংস্থায় বোর্ডের ডিরেক্টর মহিলা। গ্র্যান্ট থর্নটন ইউকে এলএলপি-র সাউথ এশিয়া বিজনেস হেড অনুজ চান্ডে বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন গোটা বিশ্বেই বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত যোগাযোগ বাড়াতে চাইছে। গত বছরের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বলেই মনে হয়। বিনিয়োগমন্ত্রী জেরি গ্রিংস্টোন বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্রিটেন আকর্ষণীয় গন্তব্যের তালিকাতেই রয়েছে। তাঁরা ব্রিটেনে কাজের সুযোগ তৈরি করছেন। বোর্ডরুমের সর্বোচ্চ পদে মহিলা প্রতিনিধি বাড়ছে। গবেষণার এই ফলকে আমি স্বাগত জানাই। ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার গায়ত্রী ঈশ্বর কুমারও এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, মহামারী সত্ত্বেও ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবাহ ইতিবাচক গতি বজায় রেখেছে। ভারতীয় সংস্থাগুলির নেতৃত্ব ও সাফল্য নতুন উদ্যোগে অনুপ্রেরণা দেবে। আমি শুভেচ্ছা জানাই।