মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
নাগরিকত্ব নিয়ে বহুযুগব্যাপী মতুয়াদের অনিশ্চয়তাকেই অস্ত্র করে বিগত লোকসভা ভোটে প্রচার করেছিল বিজেপি। নির্বাচনী জনসভা থেকে ক্ষমতায় ফিরতে পারলে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এদিকে, অসমে এনআরসি তালিকা প্রকাশকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে আতঙ্ক দানা বেধেঁছে, তা বাংলাতেও প্রভাব ফেলেছে বলে তৃণমূলের দাবি। সদ্য হওয়া তিনি বিধানসভা উপনির্বাচনে সাফল্যের নেপথ্যে এনআরসি বিরোধী জনমত প্রধান ভূমিকা নিয়েছে বলেই তৃণমূলের দাবি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) পাশ করানো হবে বলে ঘোষণা করেন। ওই বিল পাশ হলে কোনও হিন্দুর নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় থাকবে না। তাঁর সেই আশ্বাসবাণীতেও কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি। বিশেষত, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্তদের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাতেও কড়া প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। মতুয়াদের মধ্যে এখনও প্রস্তাবিত ‘ক্যাব’ নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনআরসি বিতর্ক উস্কে দিয়ে মতুয়াদের মধ্যে বিজেপি বিরোধিতা জাগিয়ে রাখতে সচেষ্ট তৃণমূল। রবিবার দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কোর কমিটির বৈঠকে সাংগঠনিক পর্যলোচনায় বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বিগত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ কেন্দ্রে তৃণমূলের বিপর্যয়ের বিশ্লেষণ করেন। তাঁর দাবি, মতুয়া ভোটে ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। দলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালার চাঁদা তোলা নিয়ে খোঁচাও দেন এই প্রবীণ সাংসদ। ঘটনাচক্রে মমতাবালা ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন না। সৌগতবাবুর প্রস্তাব ছিল, বনগাঁ মহকুমার তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে একটি কমিটি করে মতুয়াদের নতুন করে সংগঠিত করা হোক। অর্থাৎ ঠাকুরবাড়ি কেন্দ্রিক মতুয়া সংগঠন নির্ভরতা থেকে বেড়িয়ে আসার পক্ষে সওয়াল করেন দমদমের সাংসদ। তাঁর প্রস্তাব মেনে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাসকে মাথায় রেখে ২৫ জনের এই কমিটি গড়ে দিয়েছেন। বনগাঁ সংসদীয় ক্ষেত্রের অন্তর্গত গাইঘাটার বিধায়ক পুলিনবিহারী রায়, বনগাঁ দক্ষিণের সুরজিত বিশ্বাস, স্বরূপনগরের বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, রতন ঘোষ প্রমুখ এই কমিটিতে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, বনগাঁ লোকসভার পাঁচটি বিধানসভা উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত। বাকি দুটি নদীয়া জেলায়।