মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এটিএমগুলি ব্যাঙ্কের নামে থাকলেও, তাতে টাকা ভরার কাজ হয় আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে। অর্থাৎ এটিএমে টাকা ভরার দায় ব্যাঙ্কগুলির থাকে না। টাকা ভরার কাজটি যাতে আরও বেশি সুরক্ষিত করা যায়, তা মাথায় রেখেই গত বছর একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সেই সংস্থাগুলির ব্যবসা চালানোর মূলধন অন্তত ১০০ কোটি টাকা। সেই টাকা নিয়ে যাওয়ার ভ্যানের পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেকেরই। এটিএমের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলির সংগঠন কনফেডারেশন অব এটিএম ইন্ডাস্ট্রি জানিয়ে দেয়, আরবিআইয়ের দেখানো পথে চলতে গেলে গুটিয়ে ফেলতে হবে এটিএম ব্যবসা। গ্রামের দিকে চালু আছে, এমন এটিএমগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ব্যবসার খরচ কমাতে সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল এটিএমে কর্মী না রাখা। আর তাতেই সর্বনাশ।
বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রাজেন নাগর বলেন, রক্ষী কমিয়ে এবং সিসিটিভির মতো ই-সার্ভিল্যান্স প্রযুক্তিভিত্তিক নজরদারি বাড়িয়ে কখনও অপরাধ রোখা যায় না। অপরাধের কিনারা করা যায় মাত্র। কিন্তু টাকা লুট হলে বা গ্রাহকের প্রাণ সংশয় হলে, তার দায় কি ব্যাঙ্কগুলি নেবে, প্রশ্ন তাঁর। রাজেনবাবু বলেন, এটিএম ক্লোনিং যে রুখে দেওয়া যায় নিরাপত্তা রক্ষীদের দিয়েই, তার প্রমাণ পেয়েছে কলকাতা। ভবানীপুরে এমন দু’টি কেসে কলকাতা পুলিস থেকে ওই নিরাপত্তারক্ষীদের পুরস্কৃতও করা হয়েছে। কিন্তু ওইটুকুই। আমরা যতই গলা ফাটাই না কেন, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই এসব ব্যাপারে। আমরা পুলিস কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি এই নিয়ে। পুলিসের তরফেও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। আমাদের বক্তব্য, শুধু টাকা খোয়া যাওয়া নয়, গ্রাহকের প্রাণ রক্ষা করাটাও কিন্তু চ্যালেঞ্জ। সেখানেই থেকে যাচ্ছে খামতি। এর সুরাহা করতে কে এগিয়ে আসবে, সেটাই বড় প্রশ্ন।