ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
কাজের খোঁজে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের কিছু মানুষ। গত সপ্তাহে জঙ্গিদের আক্রমণে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন একাধিক ব্যক্তি। জঙ্গিরা বেছে বেছে ভিন রাজ্য থেকে যাওয়া শ্রমিকদের নিশানা করে চলেছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপের ফলে জঙ্গি কার্যকলাপ দূর হবে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেখানকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে বস্তুত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে দেশের তাবড় দলগুলির সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলার পাঁচ শ্রমিকের হত্যার ঘটনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ওই হত্যাকাণ্ড পূর্ব-পরিকল্পিত। তাই তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। এদিন উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা থেকে দু’টি বড় মিছিল এসে যোগ দেয় মূল কর্মসূচিতে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, যুব নেতা স্বরূপ বিশ্বাস, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ নেতৃত্ব দেন। বৈশ্বানর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপন্ন পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই কাশ্মীরে যাঁরা বিপদের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের সরকারি উদ্যোগে ঘরে ফিরিয়ে এনেছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরই নির্দেশে তৃণমূল যুব কর্মীরা পথে নেমেছেন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করতে। তাঁর দাবি, বিজেপি সরকার সমস্ত মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে। বৈশ্বানরের দাবি, দলনেত্রী বলেছিলেন, যে রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ, সেখানে জঙ্গি হামলার সমস্ত দায় কেন্দ্রকে নিতে হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর তরফে পাঁচ বাঙালি হত্যার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি পাওয়া গেল না।